ইব্রাহিম হোসেন (মুন): বিগত কয়েক দিন ধরে রাবির তথাকথিত দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত,শুনানি এবং লেখালেখি এসব নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে ক্যাম্পাসে। অদ্ভূত সব চিন্তাধারায় কেউ ভিসি হচ্ছে কেউ ভিসি বানাচ্ছে সবই হচ্ছে প্রগতিশীলতার দাবীদারদের মধ্যে। হট আলোচনার জন্ম দিচ্ছে অনুপ্রবেশকারী প্রগতিশীলদের মধ্যে ইতিমধ্যে ঢাকা, গোপালগঞ্জ সফর শেষ । শুধু চেয়ারে বসার অপেক্ষা কিন্তু সমস্যা এক জায়গায় দেশ রত্ন শেখ হাসিনার নজর কিভাবে এরানো যায় । তার নজর পড়লে তো ধরা খেয়ে যাব। সব আয়োজন মিথ্যা হয়ে যাবে। তাই চলছে গোপন মিটিং সাবেক এক উপাচার্যের নেতৃত্বে ।
জ্ঞ্যান পাপীদের খেলাধুলা? ২২ নং বোতলে মার তালা। চতুর এক ইঞ্জিনিয়ার কাজ-কামে লেজেগবর জীবন চালাতে নাভিশ্বাস অবস্থায়, চিন্তা করছে সহজ ভাবে কি করা যায়? শেষমেশ ঔষুধের দোকান ঔষুধ বিক্রি করতে করতে এক পর্যায়ে নিজেকে বড় ডাক্তার ভাবতে শুরু করে।সাটানো হলোসাইনবোর্ড “এখানে রোগী দেখা হয়” যে কোনো রোগের ১০০% গ্যারান্টি” বিফলে ডাবল টাকা ফেরত । রোগীরা হুমড়ি খেয়ে আসতে লাগলো । বড় বড় ডাক্তার দের কাছে রোগী নাই । উপায় আন্ত না পেয়ে, একদিন এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিজে রোগী সেজে আসলেন এই ডাক্তারের কাছে । শুরু হল রোগী দেখা , আপনার কি সমস্যা? রোগী বলছেন আমার মুখে সাধ নেই ও তাই ? কম্পাউন্ডার ২২ নং বোতল থেকে তিন ফোটা রোগীর জিব্বায় দাও। কথামত কম্পাউন্ডার রোগীর জিব্বায় তিন ফোটা ঢেলে দেন । রোগী বলছেন স্যার এতো কিরোসিন ? এবার ডাক্তার বলছেন ভেরী গুড আপনার মুখে সাধ ফেরত এসেছে, ভিজিট ৫০০+ ঔষুধের দাম ৫০০ মোট ১০০০ টাকা দিয়ে চলে যান ।বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ভেবে কুল না পেয়ে ১০০০ টাকা দিয়ে বিদায় নিলেন । মনে মনে সংকল্প করলেন আমি আবার আসবো কথামত কয়েক দিন পর, এবার বলছেন ডাক্তার সাহেব আমি কিছু মনে রাখতে পারছিনা । তাই নাকি ? কম্পাউন্ডার ২২ নং বোতল থেকে তিন ফোটা রোগীর জিব্বায় দাও। না ডাক্তার সাহেব ঐ বোতলেতো কেরোসিন আছে ভেরী গুড আপনার সেন্স ফেরত এসেছে, ভিজিট ৫০০ আর বোতল দেখে সেন্স ফেরত আসায় ৫০০ মোট ১০০০ টাকা দিয়ে চলে যান । বেচারা ১০০০ টাকা দিয়ে চলে যায় আর ভাবে তোরে একদিন দেখে নিব,আমি আবার আসবো । কয়েক দিন পর–ডাক্তার সাহেব আমি চোখে ঝাপসা দেখছি তাই নাকি ? কিন্তু এই রোগের তো চিকিৎসা আমার কাছে নাইঃ ।সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলছেন এবার ডাবল টাকা (অর্থাৎ ভিজিট ৫০০ + জরিমানা ৫০০ মোট ১০০০ টাকা) ফেরত দেন । কম্পাউন্ডার ২২ নং বোতলের নিচে যে টাকা রাখা আছে তা দিয়ে দিন । কম্পাউন্ডার টাকা নিয়ে রোগীকে দিলেন এবার রোগী চিৎকার করে বলে এ তো ৫০০ টাকা আমাকে ১০০০ টাকা দিন । ডাক্তার বলছেন ভেরীগুড আপনার চোখ ভালো হয়ে গেছে ভিজিট ৫০০ + আমার দেওয়া ৫০০ + বোতোলের নিচের টাকা দেখে চোখ ভালো হওয়ায় আরো ৫০০ মোট ১৫০০ টাকা দিয়ে চলে যান ।বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাস্তাবুদ ১৫০০ টাকা দিয়ে চলে গেলো।
২২ নং বোতল দিয়ে ডাবল টাকা বার বার তসরুপ করে দুর্নীতির মহানায়করা দুর্নীতি নিয়ে কথা কয় আবার বিশেষজ্ঞ নাস্তাবুদ ডাক্তারা সব জেনেশুনে তাদের কথায়-যারা চোর ধরছে তাদের বিপক্ষে গিয়ে শুনানি করতে চায় হায়রে কপাল! বিঃ দ্রঃ ২২ নং বোতল এখন ঢাকায় । সাধু সাবধান! খুব গোপনে যদি প্রধানমন্ত্রী সব জেনে যায় ।
লেখক ইব্রাহিম হোসেন (মুন) সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহীবিশ্ববিদ্যালয় ও পিএইচডি গবেষক।
মতিহার বার্তা ডট কম: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.