অনলাইন ডেস্ক: সিপিইসিকে সামনে রেখে নয়া খেলা খেলতে শুরু করেছে চিন। এবার পাকিস্তানের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ভারতের সঙ্গে ফের উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিতে চেষ্টা করছে বেজিং। তবে চিনের ‘হাতের পুতুল’ পাকিস্তান আপাতত তাদের কথাতেই নেচে চলেছে। পাকিস্তানের কাশ্মীর বিষয়ক সংসদীয় মন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর জানিয়েছেন খুব দ্রুত গিলগিট বালতিস্তানকে পাক প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
আলি আমিন আরও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই অঞ্চলে সফর করার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গিলগিট বালতিস্তান সফরকালে পাক প্রধানমন্ত্রীও আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন আলি আমিন।
বিশেষ সূত্রে খবর, পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের পিছনে রয়েছে চিনের হাত। সিপিইসির জন্য নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যেই চিনের এই চাল বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯৪৯ সালের করাচি চুক্তি অনুসারে এই এলাকায় খবরদারি করতে শুরু করে পাকিস্তান। গিলগিট বালতিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয় ফ্রন্টিয়ার ক্রাইম রেগুলেশন। তবে ১৯৭৫ সালে সেই রেগুলেশন বাতিল হয়ে সিভিল ও ক্রিমিনাল ল প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, এই দুটি স্থানকে ভারত স্বাধীনতার পর থেকেই দাবি করে আসছে। ঠিক একইভাবে পাকিস্তানও তাই দাবি করে। ফলে ১৯৪৮ সালে পাক উপজাতি হানাদার বাহিনী যখন স্বশাসিত তথা ‘স্বাধীন’ কাশ্মীরে হামলা চালায় তখন সেখানকার রাজা হরি সিং সরাসরি ভারতের সাহায্য চান। এবং জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতে অন্তর্ভুক্তি মেনে নিয়েছিলেন। তারপরেই ভারত সেনা পাঠায়। সেই পাল্টা আক্রমণে শ্রীনগর দখল করার ঠিক আগেই হটে গিয়েছিল পাক উপজাতি বাহিনী। সংঘর্ষ শেষে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপে লাইন অফ কন্ট্রোল তৈরি হয়। তার একপাশে পড়ে জম্মু-কাশ্মীর অন্যপাশে পড়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর।এই অধিকৃত কাশ্মীরকেই এখন নিজেদের প্রদেশ হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইছে পাক সরকার, তবে তা একেবারেই চিনের চাপে পড়ে।
এবার সিপিইসিকে বাস্তবায়িত করতে গেলে গিলগিট বালতিস্তানের পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রয়োজন। তাই অর্থনৈতিক করিডরকে মাথায় রেখে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়িয়েছে চিন।
মতিহার বার্তা ডট কম: ০৪ অক্টোবর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.