মতিহার বার্তা ডেস্ক: এখনও এক মাস হয়নি বাজারে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে এক কেজি আলু পাওয়া যেতো। পাইকারী বাজারগুলোতে এ পরিমাণ আলু মিলতো আরও কমে ১৬ থেকে ১৮ টাকার মধ্যে।
সেই আলুর দাম হু-হু করে বেড়ে এখন অর্ধশত বা তার চেয়ে বেশি।
বর্তমানে খুচরায় বিক্রমপুর আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি আর রংপুর ও রাজশাহীর আলুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি। তার মানে মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আলুর দাম দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। আলুর দর বাড়া নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যে ত্রাণ বিতরণে আলুর ব্যবহার, উৎপাদন কম হওয়া, বন্যায় নতুন আলুর রোপণ না হওয়ায় দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে একটি পণ্যের দাম বাড়ানো হলে অন্যটির দাম বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ীরা, তারই অংশ হিসেবে আলুর দাম বাড়ানো হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে বিক্রমপুর আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা আর রংপুর ও রাজশাহীর আলুর বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি। ছোট আলু দাম চাওয়া হচ্ছে ৬০ টাকা। অন্যদিকে কারওয়ানবাজারের পাইকারী আড়তে প্রতিকেজি বিক্রমপুর আলু (পাইকারী) বিক্রি হচ্ছে ৪৩ টাকা আর রংপুর ও রাজশাহীর আলুর বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি।
মাত্র এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম দুই গুণ বেশি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতাসাধারণ। তাদের দাবি, নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া আর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে আলুর দাম চড়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কাঁঠালবাগান বাজারের ক্রেতা মতিয়ার বলেন, বাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে অন্যগুলোর দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। প্রথমে পেঁয়াজের দাম বাড়লো এরপর একে একে মাছ, মাংস সবশেষে কাঁচাবাজার। আলুর দামও একইভাবে বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এর মধ্যে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়ায় দাম বাড়ানোর আরও একটি কারণ।
আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। এ বাজারের বিক্রেতা মনির বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারী বাজারে আলুর দাম বাড়ানোয় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। পাইকারী বাজারে কমলে খুচরাতেও দাম কমে আসবে বলে আশাবাদী তিনি।
কারওয়ানবাজারের পাইকার আলু বিক্রেতা ও শাপলা ট্রেডার্সের মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, এবার আলুর দাম বাড়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্য অন্যতম কারণ করোনার ভয়াবহ সময়ে ত্রাণ বিতরণে ব্যাপকহারে আলুর ব্যবহার বেড়েছে। তাছাড়া জমিতে আলুর উৎপাদন কম হওয়া, নতুন আলুক্ষেত চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, তাছাড়া সবজির দাম বাড়ানোর সঙ্গেও আলুর দাম জড়িত আছে। এখন স্থানীয় পর্যায়ে আলু খুব বেশি নেই, এসব কারণে এবার দাম একটু বেশি।
মতিহার বার্তা ডট কম: ১২ অক্টোবর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.