নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বামী হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এবং থানার ওসি মামলা গ্রহণ না করায় প্রতিকার পেতে আদালতের স্বরণাপূর্ণ হয়েছেন ভুক্তভোগী নমিতা রানী রক্ষিত (৪১)। গত (১৯ অক্টোবর) সোমবার দুপুরে রাজশাহী সিএমএম আদালত থেকে হেরারিং শেষে বের হয়ে আসেন নমিতা রানী রক্ষিত, তার আত্মীয়স্বজন ও এ্যাডভোকেট মো: সাইফুল ইসলাম।
২০১৭ সালের ২১ মে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কোনো এক সময়ে তার স্বামী শ্যামল রক্ষিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গলায় নাইলনের রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর তাকে একটি মেহগিনি চারা গাছের সাথে বেঁধে রেখে চলে যায় তারা। একই সাথে হত্যাকারীরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে একটি চিরকুট তার স্বামীর প্যান্টের পকেটের ভেতরে রেখে যায় হত্যাকারীরা।
নমিতা রানী রক্ষিত ঘটনার পরদিন ২২ মে রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানায় এজাহার দিতে যান। কিন্তু থানার তৎকালীন ওসি এজাহার গ্রহণ করেননি। নমিতা রানী আদালতে উপস্থাপন করেন, থানার তৎকালীন ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। বিভিন্ন সংস্থার কাছে বিচার চেয়েও তিনি পাননি। পিবিআই রাজশাহীও এই হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে পুনরায় তদন্তের জন্য কাকে দায়ীত্ব দেয়া হবে এ নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
এর আগে তিনি স্বামী হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এবং থানার ওসি মামলা গ্রহণ না করায় প্রতিকার পেতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন । নমিতা রানী তার দাখিল করা এজাহারটি গ্রহণ করে স্বামী হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছেন। স্মারকলিপিতে নমিতা রানী তার স্বামী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটিকে পুলিশ কীভাবে ধামাচাপা দেয়ার এবং এটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন।
মতিহার বার্তা ডট কম: ২১ অক্টোবর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.