শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজিয়ে পাখি তাড়াতে হয়, রাজশাহী বিমানবন্দর

অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজিয়ে পাখি তাড়াতে হয়, রাজশাহী বিমানবন্দর

অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজিয়ে পাখি তাড়াতে হয়, রাজশাহী বিমানবন্দর
অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজিয়ে পাখি তাড়াতে হয়, রাজশাহী বিমানবন্দর

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাখির সঙ্গে বিমানের ধাক্কা বা বার্ড স্ট্রাইকের মতো বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে রাজশাহী শাহ্ মখদুম বিমানবন্দরে।

এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আসছে শীতে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় পাখির উপদ্রব বাড়লে ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে। পাখি তাড়ানোর উপকরণ না থাকায় বাধ্য হয়েই অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজিয়ে পাখি তাড়াচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী শাহ্ মখদুম বিমানবন্দরে মূলত রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিমান চলাচল করে। বাংলাদেশ বিমান, নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা এই রুটে বিমান পরিচালনা করে। এই বিমানবন্দরের আশপাশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছ ও ফসলি জমি। সেখানে সব সময়ই থাকে অগণিত পাখি। এসব পাখির অবাধ বিচরণ বিমানবন্দরের রানওয়ে ও আশপাশে।

কিন্তু রাজশাহীতে পাখি তাড়াতে কোনো আধুনিক প্রযুক্তি তো নেইই উল্টো একটি বন্দুক ছিল সেটাও নষ্ট পড়ে আছে অনেক দিন ধরে। ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পাখি তাড়ানোর কাজে হিমশিম খাচ্ছেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত সদস্যরা।।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিল বা শকুন খুবই ভয়ংকর তারা যদি উড়ন্ত বিমানে আঘাত করে, তবে সাংঘাতিক ঝুঁকি আছে। বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় কম উচ্চতায় নেমে আসার কারণে বার্ড স্ট্রাইক হওয়াটা প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা। এ জন্য নিতে হয় ব্যাপক নিরাপত্তা।

বাংলাদেশ বিমান প্রশিক্ষণ একাডেমির পাইলট ফারহান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই পাখির সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। রাজশাহীর রানওয়ের একদিকে ১৭, একদিকে ৩৫। ৩৫ অঞ্চলে প্রতিদিন অন্তত ৫০ থেকে ৬০টি বাজ পাখি বসে থাকে। ১৭ সাইডে একটি নদীর মতো লেক আছে। সেখানে অনেক মাছও আছে। এ জন্য সেখানেও পাখি থাকে। এখন অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সাইরেন বাজানো হচ্ছে এটিও বিপজ্জনক। আমাদের ধসব সময় নামা ও ওঠার সময় এভোয়েড করে চলতে হয়। যেকোনো সময় এগুলো বড় দুর্ঘটনা ঘটাতে সক্ষম।’

রাজশাহী বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী আবু বক্কর বলেন, এখানকার পাখি তাড়ানোর বন্দুকটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। তাই কখনো লাঠি দিয়ে পাখি তাড়ানো হয়। তাতে কাজ না হলে অনেক সময় এখানকার অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করতে হয়। অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজিয়ে পাখি তাড়ানো হয়।

শাহ মখদুম বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, ‘আমাদের এখানে একটি মাত্র বন্দুক ছিল। সেটিও প্রায় দুই মাস ধরে নষ্ট। দুটি নলের মধ্যে একটি অনেক দিন ধরেই নষ্ট। সেই থেকে এটির একটা নল দিয়েই কাজ হতো। দুই মাস আগে সেটিও নষ্ট হয়। এর পর থেকেই বন্দুকটি অকেজো। এখন অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন দিয়েই কাজ চলছে। আনসার সদস্যরাই এটি করেন। আমাদের বার্ড শুটার নেই, বন্দুকও নষ্ট। এ অবস্থায় এ কাজটা করা খুব কঠিন।’

রাজশাহী শাহ্ মখদুম বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সেতাফুর রহমান এই সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আপাতত আনসার দিয়েই কাজ চলছে। বন্দুক কেনার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

মতিহার বার্তা ডট কম: ২৫ অক্টোবর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply