শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ

রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ

রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও নানা অনিয়ম
রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির দুটি কোয়ার্টার ভাল থাকলেও অনুপযোগী দেখিয়ে পছন্দের প্রায় ১০জন লোককে ৫% ভাড়ায় সুবিধা দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সরকার। তবে তা সংস্কার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণির (গ এবং ঘ বিল্ডিং) ভবনসমূহ দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে আছে। মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হচ্ছে- ১০ বছর ধরে এসব ভবন (কোয়ার্টার) বসবাসের অনুপযোগী হয়ে আছে। তবে কর্তৃপক্ষের লিখিত এক পত্রে পাঁচ বছর ধরে এসব ভবন (কোয়ার্টার) বসবাসের অনুপযোগী হয়ে আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ-২ রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে পাঠানো এই পত্রে বলা হয়, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে গণপূর্ত কর্তৃক ভবনসমূহের সার্বিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। ফলে ভবন সমূহের দরজা-জানালা ভেঙ্গে গেছে, সিমেণ্ট প্লাস্টার খসে পড়ছে এবং অধিকাংশ স্থাপনায় পয়-প্রনালী বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে ভবনসমূহে বসবাসের অসুবিধা ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় গণপূর্ত বিভাগের তালিকাভূক্ত রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণির (গ এবং ঘ বিল্ডিং) ভবনসমূহ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্ষাকালে দুটি ভবনের বিভিন্ন কক্ষে ছাদ বেয়ে পানি পড়ে। দরজা-জানালা ভেঙ্গে গেছে, সিমেণ্ট প্লাস্টার খসে পড়ছে।

প্রতিষ্ঠানটির একটি সূত্র বলছে, অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবে ও অবহেলা করে ভবনগুলো সংস্কার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির একটি সি-িকেট অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে সেগুলো প্রায় অকার্যকর ও বসবাস অনুপযোগী করে রেখেছে।

দীর্ঘদিন ধরে ভবনসমূহ বসবাস অনুপযোগী হয়ে থাকলেও এতোদিন কেন তা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি- এমন প্রশ্নের কোনো সঠিক জবাব মেলেনি।

নথিপত্র যাচাই করে দেখা গেছে, বসবাস অনুপযোগী ভবনসমূহ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত তিন বছরের মধ্যে এ সংক্রান্ত মাত্র একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে গণপূর্ণ বিভাগে। তাও আবার গত ৩ নভেম্বর।

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণপূর্ত বিভাগের একজন সহকারী প্রকৌশলী জানান, ভবনসমূহ সংস্কার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে বাজেট কালেকশন (সংগ্রহ) করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকেই। এরপর পণপূর্ত বিভাগকে জানালে সে মোতাবেক কাজ করা হবে।

তবে এ ব্যাপারে রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এসএম ইমদাদুল হক বলেন, এসব কাজের জন্য আমাদের বাজেট কালেকশনের কোনো প্রয়োজন নেই। উল্লেখিত ভবনসমূহ (কোয়ার্টার) মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের সার্বিক দায়িত্ব পুরোপুরি গণপূর্ণ বিভাগের।

এ নিয়ে বেতন বহি ও কোয়াটারের ভাড়া আদায়ের রেজিস্টার দেখানোসহ সকল প্রকার তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার জন্য টিটিসির সিনিয়র প্রশিক্ষক মোঃ আইয়ুবুল আজাদকে দায়িত্ব দেন অধ্যাক্ষ। কিন্তু তিনি বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করে তথ্য প্রদান থেকে বিরত থাকেন। সিনিয়র প্রশিক্ষক মোঃ আইয়ুবুল আজাদ গত ২৫ বছর ধরে এই টিটিসিতে চাকরি করছেন জানা গেছে।

কোয়াটারের একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, যাদের ৫% ভাড়ায় রাখা হয়েছে তাদের কাছ সুবিধা নিয়ে থাকেন অধ্যক্ষের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত লুৎফর রহমান। আর একই রকম ভবনে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে ১০০% ভাড়া আদায় করা হয়। তবে এ অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন অধ্যক্ষ।

একটি সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির কম্পাউ-ার লুৎফর রহমান একজন সামান্য কর্মচারী হলেও কর্তৃপক্ষের সাথে তার সখ্যতা দীর্ঘদিন ধরে। এর সুবাদে কোয়ার্টারে বসবাসের ক্ষেত্রে তাকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলেও কর্তৃপক্ষের নজরে তিনি একজন ভালো কর্মচারী। এ নিয়ে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। যদিও এসব বিষয়টি অস্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ।

অভিযোগ রয়েছে- বাসা ভাড়া কর্তনের ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হচ্ছে। অধ্যক্ষের কাছের লোক লুৎফর রহমানের পছন্দের শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পান। বর্তমানে প্রায় ১০জন ৫% ভাড়া দিয়ে কোয়াটারে বসবাস করছেন। আর অন্যদের কাছ থেকে ভাড়া কর্তন করা হয় ১০০%। এ নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

সূত্র বলছে, গত জুলাই থেকে বসবাসের উপযোগী ইন্সট্রাক্টর কোয়াটার ফ্রি করে নেন কমপাউ-ার লুৎফর রহমান। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে অধ্যক্ষ ব্যাক ডেটে গত ১৫ অক্টোবর থেকে লাইব্রেরীযান মাকসুদার নামে ৫% এ বরাদ্দ কোয়াটারে তাকে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে জনশক্তি কর্মসংস্থানের মহাপরিচালক (ডিজি) মোঃ শামসুল আলম-এর মুঠো ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মতিহার বার্তা ডট কম  নভেম্বর, ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply