শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
সিআইডি গোল্ডেন মনিরের মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য খুঁজছে

সিআইডি গোল্ডেন মনিরের মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য খুঁজছে

সিআইডি গোল্ডেন মনিরের মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য খুঁজছে
সিআইডি গোল্ডেন মনিরের মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য খুঁজছে

অনলাইন ডেস্ক: গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদের সন্ধানে নেমেছে সিআইডি। একইসঙ্গে বিদেশে পাচার করা অর্থের খোঁজ করেছে সংস্থাটি। তার নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

স্বর্ণ চোরাচালানে অর্জিত অর্থ তিনি বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে অবৈধ সম্পদ অন্য খাতে রূপান্তর করেছেন। এ ছাড়া আর কী করেছেন-সে বিষয়েও সন্ধান চলছে। তার অপরাধগুলো মানি লন্ডারিং আইনে অনুসন্ধানের সুযোগ আছে।

সিআইডির সংশ্লিষ্ট ইউনিট এ বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেলেই তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হবে। এদিকে বৃহস্পতিবার মনির হোসেন ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক।

গোল্ডেন মনিরের অর্থ পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে এরইমধ্যে সিআইডিকে চিঠি দিয়েছে র‌্যাব। বুধবার র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ যুগান্তরকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিসানুল হক বৃহস্পতিবার বিকালে যুগান্তরকে বলেন, গোল্ডেন মনিরের মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধের বিষয়ে অবশ্যই অনুসন্ধান হবে। তবে র‌্যাবের কোনো চিঠি এখনও পাইনি।

গোল্ডেন মনির নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক। তবে কী পরিমাণ সম্পদ তিনি রূপান্তর করেছেন, তা অনুসন্ধান শেষে বলা যাবে।

এরইমধ্যে তার ২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তার বাসা থেকে ১০টি দেশের মুদ্রা পাওয়া গেছে। এগুলো তিনি কেন এবং কী উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করেছেন-এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ তিনি ভূমি খাতে বিনিয়োগ করেছেন। গোল্ডেন মনিরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এসব অ্যাকাউন্টে কী ধরনের লেনদেন হয়েছে এবং কারা লেনদেন করেছেন-এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

শুধু গোল্ডেন মনির নন, তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলে সিআইডির একজন কর্মকর্তা জানান।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসা থেকে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। রোববার তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা হয়।

বর্তমানে তিনি রিমান্ডে আছেন। তাকে গ্রেফতারের পর সরকারের একাধিক সংস্থা তার অপকর্মের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

সম্পদের বিবরণী চেয়ে দুদকের নোটিশ : মনির হোসেন ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের নামে থাকা সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদক থেকে নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।

এতে মনির ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে অর্জিত স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুদক পরিচালক আকতার হোসেন আজাদের স্বাক্ষরিত এক নোটিশ ইস্যু করা হয়।

নোটিশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে। মনিরকে ২০০৯ সালের ১৮ জুনের পর থেকে অর্জিত সম্পদের তথ্য দিতে হবে এবং তার স্ত্রী রওশন আক্তারকে ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবরের পর থেকে অর্জিত সম্পদের বিবরণী দিতে হবে। যুগান্তর

মতিহার বার্তা ডট কম: ২৯ নভেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply