শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে ছিনতাই হওয়া দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার

রাজশাহীতে ছিনতাই হওয়া দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার

রাজশাহীতে ছিনতাই হওয়া দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার
রাজশাহীতে ছিনতাই হওয়া দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার

এসএম বিশাল: রাজশাহী নগরীতে ছিনতাই হওয়া দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।
ভাইয়ের ১৭টি সোনার বার অত্মসাত করতেই জিতেন ধর ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দক্ষ অনুসন্ধানে থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারও করেছে।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম জিতেন ধর (৪৮)। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জামনগর গ্রামে তার বাড়ি। বাবার নাম দ্বীনেশ ধর। পুলিশ জিতেনের কাছ থেকে ১৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে। একটি বার পুঠিয়ার একটি জুয়েলারি দোকানে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন।

গত ২১ ডিসেম্বর রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল এলাকায় এই ছিনতাই নাটক সাজানো হয়েছিল। এ নিয়ে স্বর্ণের মালিক দ্বিজেন ধর নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এরপর শুক্রবার বোয়ালিয়া থানা পুলিশ জিতেন ধরকে গ্রেফতার করে। পরে গতকাল শনিবার এ নিয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হয়।

’সেখানে আরএমপির পুলিশ কমিশনার আবুল কালাম সিদ্দিক জানান, গ্রেফতার জিতেনের বড় ভাই দ্বিজেন ধর (৫০) ফেনীতে থাকেন। ২১ ডিসেম্বর তিনি সেখানকার দুটি জুয়েলার্স থেকে ১৭টি স্বর্ণের বার নিয়ে আসেন। সেদিন ভোরে তিনি রাজশাহীর পুঠিয়ায় ভাই জিতেনের বাড়ি আসেন। ভাই জিতেনকে বারগুলো রাখতে দেন।

প্রতিটি বারের ওজন ১০ ভরি। মোট ১৭ বারের মূল্য প্রায় এক কোটি ১৯ লাখ লাখ টাকা। জিতেন একজন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি। তিনি এই স্বর্ণের বারগুলো আত্মসাতের পরিকল্পনা করেন। এ জন্য তিনি বারের পরিবর্তে তিনটি সীসার রড কাগজে স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে স্বর্ণের বারের ব্যাগে রেখে দেন। আর আসল বারগুলো নিজের বাড়িতেই রেখে দেন।

পরে দ্বিজেন তার ভাই জিতেনকে সঙ্গে নিয়ে রাজশাহী শহরে লায়লা জুয়েলার্সের দোকানে স্বর্ণের বার বিক্রি করতে আসেন। ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে জিতেন আগে থেকেই ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে আসেন। জিতেন ও দ্বিজেন নগরীর ভদ্রার মোড়ে নামা মাত্রই হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে চারজন ব্যক্তি এসে নিজেদের প্রশাসনের লোক’ পরিচয় দেন। তাদের কাছে থাকা হ্যান্ডকাপ দেখান। সেখান থেকে তাদের তুলে নিয়ে শিরোইর শুভ পাম্পের পিছন সাইডে তারা জিতেনের কাছে থাকা ব্যাগটি জোর করে কেড়ে নেয়। মানিব্যাগ এবং দুটি মুঠোফোনও কেড়ে নেয়া হয়। এরপর তারা মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ছিনতাইয়ের নাটকটি সাজিয়েছিলেন জিতেন। তার পরিকল্পনা মোতাবেক মিজানুর রহমান মিজান ও মৃদুল নামে দুই ব্যক্তি পুঠিয়া থেকেই বাসের পেছনে পেছনে মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। তারা ব্যাগ ছিনতাইয়ের জন্য শহরে অন্য তিনজনকে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রস্তুত রাখেন।

জিতেন ও দ্বিজেন বাস থেকে নামলেই সে তথ্য অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দেন মিজান ও মৃদুল। এরপরই ব্যাগ কেড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে আসল স্বর্ণগুলো জিতেনের বাড়িতেই ছিল। সেখান থেকে একটি বার জিতেন বিক্রি করে দেন। তাকে গ্রেফতারের সময় বাড়ি থেকে বাকি ১৬টি বার উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ক্লুলেস ঘটনাটির রহস্য উদঘাট করেছে। এ ঘটনায় শুধু জিতেনকেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এখন তার সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মতিহার বার্তা ডট কম: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply