শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাবি’র টেন্ডার বানিজ্যে যুক্ত ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মচারীরা!

রাবি’র টেন্ডার বানিজ্যে যুক্ত ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মচারীরা!

রাবি’র টেন্ডার বানিজ্যে যুক্ত ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মচারীরা!
রাবি’র টেন্ডার বানিজ্যে যুক্ত ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মচারীরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : উত্তর বঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়। সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শির্ক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনা শেষে তারাই বড় বড় দপ্তরের কর্মকর্তা হন। আবার অনেকে দেশের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হোক এমন প্রত্যাশা করেন না কেউ।

ইদানিং রাবিতে টেন্ডার সংক্লান্ত বিষয়ে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। দির্ঘদিন ধরে চলা এই অনিমের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন একাধিক ঠিকাদার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। টেন্ডার বানিজ্যের সাথে সরাসরি যুক্ত প্রশাসন ভবনের শীর্ষ পর্যায়ের করেকজন ইঞ্জিনিয়ার ও কয়েকজন কর্মচারী বলেও অভিযোগ তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোটানি ডিপার্টমেন্টের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. গোলাম কাউসার চাকুরীতে যোগদানের পর থেকেই কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজ করে আসছেন। ঠিকাদারী কাজে জড়িত প্রকৌশল শাখা‘র সহকারী স্টোর কিপার রাতুল। তিনি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম এর অধিনে স্টোরের দায়িত্ব পালন করেন। তারা বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) বড় বড় কাজের ঠিকাদারি করেন বেনামে। এছাড়া কোটেশানের কাজগুলি রাতুলকে দিয়ে করান ইঞ্জিনিয়ার মো. আবুল কাশেম।

তিনি বারী বাদশা, আল-আমিন, মতিহার ট্রেডার্স আমজাদ হোসেনসহ বিভিন্ন লাইসেন্সে ঠিকাদারী কাজ করান বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে রাবিতে ইঞ্জিনিয়ারদের মাঝেই অসন্তোষ রয়েছে।

একাধিক ঠিকাদারদের অভিযোগ, টেন্ডার ডন ও রাবির কর্মচারী গোলাম কাউসার, রাতুল মামুনসহ পছন্দের ঠিকাদারদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঠিকাদারী কাজ পাইয়ে দেন নূরে আলম মামুন। তিনি প্রকৌশল শাখার নিম্নমান সহকারী সমমান (চেইনম্যান)। এই নূরে আলম মামুনকে ঠিকাদারগণ বলেন মিস্টার ৫%। কারন ঠিকাদারদের ফাইল পাস করানোর জন্য ফাইল প্রতি ৫% টাকা নিয়ে থাকেন তিনি। এছাড়া টাকা না দিলে চেক আটকানোর অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক।

অভিযোগ রয়েছে, রাবি প্রশাসন ভবনের ইঞ্জিনিয়দের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে কোটি কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নিচ্ছেন টেন্ডার ডন সহ কর্মচারীরা। এছাড়াও কোটেশান ২ থেকে ৫লাখ টাকার কাজগুলি তার একক নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন তারা।

গত এক যুগের ব্যবধানে আঙ্গুল ফলে কলা গাছ হয়েছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাবি’র প্রকৌশল শাখার একটি সূত্র জানায়, গোপনে ঠিকাদারদের সাথে জড়িত ইঞ্জিনিয়াররা হলেন-রাবি’র জামায়াতের চিফ ইঞ্জিনিয়র মোঃ আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবুল কাশেম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান।

রাবির এই ব্যাপক উন্নয়ন কাজ সরকারি নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদার ও কর্মচারীদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে বোটানি ডিপার্টমেন্টের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. গোলাম কাউসার বলেন, আগে ঠিকাদারী কাজ করেছি। বর্তমানে আমার লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। তাই আর কাজ করিনা বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

প্রকৌশল শাখা‘র সহকারী স্টোর কিপার রাতুল বলেন, আমি কোন ঠিকাদারী কাজ করিনা। জড়িতও ছিলাম না।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার মমতাজুর রহমান ডন বলেন, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে আমি নিয়মিত ঠিকাদারী কাজে অংশ গ্রহণ করি এবং ইজিপি‘র মাধ্যমে ব্রাইট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে পাওয়া কাজগুলো ক্রয় করে কাজ করে থাকি। ইজিপি‘র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে গোপন সখ্যতার বিষয়টি অস্বিকার করে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আর বাকি ঠিকাদারদের মতই আমি কাজ করে থাকি।তবে আমি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নই।

প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আদাজ বলেন, ইজিপি‘র মাধ্যামে যে টেন্ডারগুলো হয়, সে গুলো আমরা শুধুই দেখভাল করি। কোটেশনের কাজগুলো নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়। এছাড়া অন্য সকল অভিযোগ অস্বিকার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবুল কাশেম বলেন, এ সমস্ত ব্যাপারে আমার কোন কিছু জানা নাই। তিনি প্রধান প্রকৌশলীর নিকট জানুন বলে ফোন কেটে দেন।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১১ জানুয়ারী ২০২১

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply