শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
করোনার প্রভাব: রাজশাহীতে ফুল বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে

করোনার প্রভাব: রাজশাহীতে ফুল বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে

করোনার প্রভাব: রাজশাহীতে ফুল বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে
করোনার প্রভাব: রাজশাহীতে ফুল বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতেও ফুলের প্রচুর চাহিদা থাকে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত। এসব ফুলের একটা বড় অংশের ব্যবহারকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবারের বসন্তবরণ ও ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে ফুল বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন দোকানিরা। বিজয় দিবস, থার্টিফার্স্ট নাইট, বসন্তবরণ, ভ্যালেন্টাইনস ডে, শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে ফুলের ব্যবহার বাড়ছে ক্রমেই।

জিরো পয়েন্ট রাজশাহী

ফুল বিক্রির ভরা মৌসুমেও আশানুরূপ ফুলের ক্রেতা নেই রাজশাহীতে। কোভিড-১৯ এর প্রকোপে টানা ১১ মাসের মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ফুল বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে বলে জানান দোকানিরা। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তাতে অল্প দিনের মধ্যেই লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।

নগরীর জিরো পয়েন্টে ফুল বিক্রেতা সুইট বলেন, ‘এর আগে এত খারাপ অবস্থা কোনোদিন দেখেননি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনুষ্ঠান কমে গেছে। করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সব ছাত্রছাত্রী এখনও নগরীতে ফেরেনি। বসন্তবরণের দিনে ফুল বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বসন্তবরণ বা ভালোবাসা দিবস, যে দিবসের কথাই বলেন- শিক্ষার্থীদেরকে নিয়েই রাজশাহীতে সব অনুষ্ঠান। তারা না থাকলে অনুষ্ঠান হয় কিভাবে ? আর অন্য বছরের চেয়ে এবারের শীতে বিয়ের অনুষ্ঠানও কমে গেছে। সব মিলিয়ে খুবই খারাপ অবস্থা যাচ্ছে।

রাজশাহীর বাজারে অধিকাংশ ফুল আসে যশোর থেকে। দেশের অন্যান্য স্থানের মত রাজশাহীর ফুলের বাজারে যশোরের গদখালীর ফুলের রয়েছে একক রাজত্ব। এছাড়া নওগাঁ ও রাজশাহীর কয়েকটি উপজেলা থেকেও বেশ কিছু ফুলের আমদানি হয় এই বাজারে।

নগরীর দোকানগুলোতে সাধারণত রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, গাঁদা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, জিপসিসহ নানা প্রজাতির ফুল বিক্রি হয়। জাতভেদে একেকটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা দরে। এছাড়াও রজনীগন্ধা ১৫ টাকা, ৫০-৬০ টাকায় ১০০ পিস গাঁদাফুল, জারবেরা ২০ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ১০ টাকা, জিপসি ফুল ২০ টাকা, গ্লাডিওলাস ৩০ টাকা দরে খুচরা বিক্রি হয়।

আকার ও ফুলের জাতভেদে তোড়া বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে শুরু হয়। এছাড়াও বুকেটগুলোর দামে রয়েছে ভিন্নতা।

ফুল ব্যবসায়ী তানসুর জানান, রাজশাহীর বাজারে প্রতিদিন ফুল বিক্রি হয় ৩৫-৪০ হাজার টাকার। ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা দাঁড়ায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে এবছর ফেব্রুয়ারিতে ফুল বিক্রি এক লাখ টাকা ছাড়াবে না বলেও জানান তিনি।

ফুল ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকারি অফিস ছাড়া ফুলের তেমন কোনো অর্ডারও পাওয়া যাচ্ছে না। আগে ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক ১৫-২০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হতো। আর এবার বিক্রি পাঁচ-সাত হাজারের মতো।

সাহেব বাজার ফুলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, ফুলের আমদানি পর্যাপ্ত থাকলেও চাহিদা নেই। তবে ব্যবসায়ীরা আশাবাদী ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ফুলের চাহিদা বাড়বে।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১১  ফেব্রয়ারি ২০২১

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply