শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে এক চিকিৎসক ও পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

রাজশাহীতে এক চিকিৎসক ও পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের তৎকালীন শাহমখদুম সার্কেল, এডিসি, ওসি, তদন্ত কর্মকর্তাসহ পিএম প্রস্ততকারী ডাক্তারের বিরুদ্ধে আরএমপি পুলিশ কমিশনারকে দ:বি: ১৬৭/২২৮/১৬৬/২১৭/২০১ ও ১৯৭ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত।

গত (২৫ জানুয়ারি ২০২১) রাজশাহী আতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু আসলামের স্বাক্ষরিত এ আদেশটি প্রদান করেন তিনি।

অভিযুক্তরা হলেন, তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহমখদুম সার্কেল মো. শামছুল আজম, এডিসি মো. রশিদ, ওসি মো. জিল্লুর রহমান, ওসি তদন্ত মো. আনোয়ার আলী তুহিন, এসআই আমিনুল ইসলাম এবং পিএম প্রস্তুতকারী ডা: মো. এনামুল হক।

বাঁ থেকে পিবিআই রিপোর্ট, পিএম রিপোর্ট, কোর্টের আদেশ ও অভিযোগ।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহমখদুম থানার জিডি নং-৯২৩, তারিখ ২২ মে ২০১৭ এবং এমইউডি নং-৩৮০/১৭ ভিকটিম মৃত শ্যামল রক্ষিতের হত্যার বিষয়ে ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর মামলার মূল্যবান আলামতের মূল জব্দ তালিকা ইউডি মামলা/ নিয়মিত মামলার এফআইআর এর কপি জিডির মূল কপি সহ আনুসাঙ্গীক কাগজপত্র বিজ্ঞ অদালতে দাখিলের নির্দেশ দিলেও তা প্রেরণ করেন নাই।

২০১৯ সালে ২৯ মার্চ এ হত্যাকান্ডের আলামত, মামলার কপি সহ মূল্যবান কাগজপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে প্রেরণ না করার জন্য ব্যাখ্যা তলব করলেও ব্যাখ্যার জবাব না দিয়ে উক্ত আদেশ অমান্য করে তা বিজ্ঞ আদালতে কোনরুপ কাগজপত্র দাখিল করেন নাই এবং মিথ্যা পিএম রিপোর্ট দাখিল করার জন্য পিএম প্রস্তুতকারী ডাক্তার এনামুল হককে বারবার বিজ্ঞ আতালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের আদেশ দিলেও ডা: এনামুল হক তা অমান্য করে নিজেকে আত্মগোপন করে রাখেন।

এছাড়া এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে শাহমখদুম থানা কর্তৃপক্ষ কোনো রুপ আইনি পদক্ষেপ/কার্যক্রম ও প্রক্রিয়া গ্রহণ না করার কারণে এবং ডাক্তার এনামুল হক পিএম রিপোর্টটি মূল্যবান স্থানে কাটাকাটি ও মেডিসিন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধানের স্বাক্ষর ব্যাতিরেখে মৃত শ্যামল রক্ষিত (৫০) একজন হিন্দু ধর্মের ব্যক্তি হওয়া শর্তেও তাকে মুসলিম পরিচয় উল্লেখ করেন।

এছাড়া এসআই আমিনুল উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষর অনুমতি ব্যতিরেখে (সরাসরি) এর পূর্বে বিজ্ঞ আদালতের বিপক্ষে বিরুপ মন্তব্য করে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার সহ পুলিশ হেডকোয়াটারে তিনটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়টি আদালত আমলে নিয়ে উপরুক্ত পুলিশ অফিসার সহ পিএম প্রস্তুতকারী ডাক্তার এনামুলের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আরএমপি পুলিশ কমিশনার ও বিজ্ঞ মহানগর পিপিকে নির্দেশ প্রদান করেন।

এদিকে নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায় এখন পর্যন্ত কোন নিয়মিত/ইউডি মামলা রুজু হয় নাই সুতরাং জিডি মূলে নিষ্পত্তি করা সম্ভবও হচ্ছেনা মামলাটি। ওসি, প্রশাসন ও তদন্ত কালক্ষেপন করেছেন যা দায়িত্বে অবহেলার সামিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে আদেশটিতে।

উল্লেখ্য গত ২০১৭ইং সালের ২১মে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কোনো এক সময়ে শ্যামল রক্ষিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা । গলায় নাইলনের রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর তাকে একটি মেহগনি চারা গাছের সাথে বেঁধে রেখে চলে যায় অজ্ঞাত দৃর্বৃত্তরা। একই সাথে হত্যাকারীরা হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে একটি চিরকুট শ্যামলের প্যান্টের পকেটের ভেতরে রেখে যায় হত্যাকারীরা।

ঘটনার পরদিন শ্যামলের স্ত্রী নমিতা রানী রক্ষিত ২২মে ২০১৭ রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানায় এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু থানার তৎকালীন ওসি মো. জিল্লুর রহমান অজ্ঞাত কারণে এজাহার গ্রহণ করেও মামলাটি রুজু করেননি।

নমিতা রানী আদালতে উপস্থাপন করেন, থানার তৎকালীন ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। বিভিন্ন সংস্থার কাছে বিচার চেয়েও তিনি বিচার পাননি বলেও দাবি করেন নমিতা রানী রক্ষিত।

এদিকে পিবিআই রাজশাহী, প্রকৃত স্বাক্ষীদের স্বাক্ষর জাল করে হত্যাকারীদের আড়াল করতে তাদেরকেই স্বাক্ষী বানিয়েছেন পিবিআই।

বাদীর মানিত স্বাক্ষীদের জবানবন্দী পরিবর্তন করে একটি ভুয়া প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন তারা। এই হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিষয়ে আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দাপ্তরিক চিঠিটি তারা পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply