শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি

রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি

রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি
রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি

স্টাফ রিপোর্টার : চাকরির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও স্বপদে বহাল থাকার দাবিতে অন্য চিকিৎসকদের নিয়ে আন্দোলনে নামার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রভাবশালী এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তিনি হলেন- স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মহিবুল হাসান। হঠাৎ করে আন্দোলন শুরু করায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালের রোগীরা।

সোমবার (১ মার্চ) সকাল থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়। তবে একই দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার আবারো মানববন্ধন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন চিকিৎসক মহিবুল হাসান নিজেই।

তবে মহিবুল হাসান দাবি করেন, তাঁকেসহ মামুন-উর-রশিদ নামের অপর একজন চিকিৎসককে অযৌক্তিকভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে। এমনকি ছাঁটাই করার জন্য তাঁদের কোনো নোটিশও করা হয়নি। অথচ শিক্ষার্থীদের সামনে পরীক্ষা। এ অবস্থায় তাঁদের দুজনকে ছাঁটাই করা হলে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়বেন। সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন তিনি।

চিকিৎসক মহিবুল হাসান সংবাদ সম্মেলনে জানান, দু’জন চিকিৎসকসহ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৭-৮ জন চিকিৎসক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে কোনো নোটিশ ছাড়াই। এছাড়া ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো চাকরি বিধিমালা তৈরি হয়নি। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের ৬ মাস করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। চুক্তির মেয়াদ খেয়াল খুশিমত নবায়ন করা হয়।

নিয়োগপত্রের শর্ত অনুযায়ী- এক মাসের আগাম নোটিশ ছাড়াই অসম্মাজনকভাবে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। ৬ বছর যাবৎ কোনো বেতন স্কেল পরিবর্তন করা হয়নি। সেই জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের সবার বেতন সরকারি বেতনের চেয়ে অনেক কম। আবার অফিস সময়ের বাইরেও কর্মচারীরা কোথাও খন্ডকালীন চাকরি করতে পারেন না। কিন্তু চুড়ান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় সেটিও করতে পারেন না। নিয়মিত নিয়োগ ও পদোন্নতি কমিটির সভা হয় না। এর ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ একই পদে চাকরি করতে বাধ্য হন চিকিৎসক কর্মচারীরা। ফলে তাঁদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে শিক্ষার মান খারাপ হচ্ছে। নিয়মিত নিয়োগ না হওয়ায় অনেক বিভাগে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই।

এদিকে, ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আনোয়ার হাবিব সাংবাদিকদের জানান, দুইজন চিকিৎসকের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু তার পরেও তাঁরা স্বপদে বহাল থাকতে চান। অথচ তাদের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির করার সুযোগ আমার হাতে নেই। ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন ওই দুই চিকিৎসকের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারে। কারণ ফাউন্ডেশন থেকেই সবার নিয়োগ হয়। কিন্তু ওই দুই চিকিৎসকের মেয়াদ বৃদ্ধি না হওয়ায় তাঁরা এখন অন্য চিকিৎসকদেরকেও জোর করে আন্দোলন করাতে বাধ্য করাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। আবার হাসপাতালের চিকিৎসা হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ায় রোগীরাও বিপাকে পড়েন। কিন্তু এটি তারা করতে পারেন না। কারণ নিয়ম অনুযায়ী ওই দুই চিকিৎসক আর আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো দায়িত্বে নেই।

অধ্যক্ষ আনোয়ার হাবিব আরও বলেন, ওই চিকিৎসক আমাকেও কলেজে প্রবেশে বাধা দেন। পরে প্রশাসনের সহায়তায় আমি কলেজ ও হাসপাতালে প্রবেশ করি। কিন্তু তারা এখন প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে।

নগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, চিকিৎসকদের অভ্যন্তরীণ কিছু দাবি নিয়ে তারা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তবে দুপুর থেকে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply