ফায়সাল হোসেন : রাজশাহীর উপকণ্ঠ চন্দ্রিমা থানার বালানগর এলাকায় বৈদ্যুতিক পোল ক্ষতিগ্রস্থ করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে।
প্রায় ৩০ বিঘা আয়তনের এই পুকুর খনন করেছেন উজ্জল নামের এক বিএনপি নেতা।
স্থানীয়রা বলছেন, পুকুরে পানি দিলেই পোলটি ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুকুর খননের কারণে পোলের গোড়া মাটির শূন্য হয়ে গেছে। পোলটি পড়ে গেলে পুরো গ্রাম বিদ্যুৎ শূন্য হয়ে পড়বে। একই সাথে সরকারের অপূরণীয় ক্ষতি হবে বলেও জানান তারা।
অবৈধ পুকুর খনন কারি উজ্জ্বলকে মুঠোফোনে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি জানান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি।পোল পড়বে না। সবই টাকার খেলা ভাই বলে ফোন কেটে দেন উজ্জল। এদিকে উপজেলার মেজভালামে ৬০ বিঘা আয়তনের দুইটি পুকুর খনন করছেন স্বপন। এখানেও বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্থ করে পুকুর খনন করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, স্বপনরা ৮ ভাই তাদের বিরুদ্ধে কিছু বললে এলাকায় থাকা সম্ভব হবেনা গ্রামছাড়া করে ছাড়বে তারা। রাতের আধারে বাড়ি থেকে টেনে বের করে যদি গুম করে দেয়, এমনই বক্তব্য স্থানীয়দের।
রামচন্দ্রপুর হাট পার হয়ে সারাংপুর কাঠালপাড়া গ্রামে ৪টি পুকুর খনন করছেন রফিক হাজী আয়তনে ১০০ বিঘার উপরে। রফিক হাজী রামচন্দ্রপুর ডিগ্রী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল।
পুকুর খননের ফলে এলাকার রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে পড়েছে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না। ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করে সেই মাটি যাচ্ছে ইটভাটায় ফলে কোনটা পিচের রাস্তা আর কোনটা মাটির রাস্তা বোঝার কোন উপায় নাই। পুকুর খনন করে ইটভাটায় মাটি বহনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রাক্টর। ফলে উপজেলার অধিকাংশ পিচের রাস্তায় ভেঙে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে । রাস্তার ক্ষতি করে ট্রাক্টর যোগে ইটভাটায় যাচ্ছে মাটি। এতে লাভবান হচ্ছে পুকুর খনন কারি ও ইটভাটার মালিক।
বর্ষার মৌসুমে এসকল রোড খানাখন্দের কারণে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলেও জানান স্থানীয়রা।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.