শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
পদ্মার চরে কৃষকদের আশার প্রতিফল ঘটিয়েছে

পদ্মার চরে কৃষকদের আশার প্রতিফল ঘটিয়েছে

পদ্মার চরে কৃষকদের আশার প্রতিফল ঘটিয়েছে
পদ্মার চরে কৃষকদের আশার প্রতিফল ঘটিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা চর এবার কৃষকদের আশার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। চরের উপর নানা রকম ফসল ও সবজি চাষে চারদিক এখন সবুজ আর সবুজ। বর্ষা মৌসুমে এক রকম রূপ আর শুষ্ক মৌসুমে তার আরেক চেহারা দেখা যায়। পদ্মা নদী ও চরের মানুষগুলোর জীবন-জীবিকা একই সুতোয় গাঁথা। এই মানুষেরা ভরা পদ্মায় মাছ ধরেন, শুষ্ক চরে সোনার ফসল ফলায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়-রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থেকে বাঘা পর্যন্ত পদ্মাচরে ১৪ হাজার ৪৪ হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে। এরমধ্যে ৭ হাজার ৯৪৮ হেক্টর জমিতে সবজিসহ বিভিন্ন ফসল ফলায় চাষিরা। যদিও কৃষির তিনটি মৌসুমের মধ্যে শুধু ‘রবি মৌসুম’-এ আবাদ করা সম্ভব হয়। রবি মৌসুম- ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ মার্চ (কার্তিক থেকে ফাল্গুন)। এই সময়ে পদ্মায় পানি না থাকায় রবি শস্য ফলানো সম্ভব হয়। আর খরিপ-১ ও খরিপ-২ এর ফসল বন্যার কারণে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাই বরি শস্যই একমাত্র ভরসা চরের মানুষের।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে- রাজশাহী জেলায় কৃষি জমি রয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ২৮২ হেক্টর। এছাড়া রাজশাহীর পবা, গোদাগাড়ী, চারঘাট, বাঘা জুড়ে বিস্তীর্ণ চরএলাকা রয়েছে। এই চরে মসুরের ডাল, ধান, গম, শরিষা, বাদাম, পেঁয়াজ, খেশারির ডাল, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হয়। এসব ফসল চরের কৃষক ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার কৃষক চরে গিয়ে আবাদ করেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে সালমা জানান- গত মৌসুমে (২০২০) পদ্মার চরে চাষ হওয়া ফসলের উৎপাদন হিসেবে দেখা গেছে- মসুরের ডাল- ২ হাজার ৩১৮ মেট্রিক টন, গম- ৯ হাজার ৮৩৬ মেট্রিক টন, সরিষা ৫১৮ মেট্রিক টন, ধান- ২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন, বাদাম ৪৪৬ মেট্রিক টন, পেঁয়াজ ৭ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন।

এছাড়া এবছর (২০২১) মসুরের ডাল চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫২৫ হেক্টর, গম ২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর, সরিষা ৩৫০ হেক্টর, ধান ৫৫০ হেক্টর, বাদাম ২০০ হেক্টর, পেঁয়াজ ৫৭০ হেক্টর জমিতে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply