শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
নিশ্চিত মাদক আছে বলার পরও অভিযান করলো না চারঘাট থানা পুলিশ!

নিশ্চিত মাদক আছে বলার পরও অভিযান করলো না চারঘাট থানা পুলিশ!

নিশ্চিত মাদক আছে বলার পরও অভিযান করলো না চারঘাট থানা পুলিশ!
নিশ্চিত মাদক আছে বলার পরও অভিযান করলো না চারঘাট থানা পুলিশ!

স্টাফ রিপোর্টার: এসআই আনোয়ারকে সোর্স বলছে, মাদক ব্যবসায়ীর বসত ঘরে প্রচুর পরিমানে ইয়াবা আছে, যদি না থাকে পুলিশকে হয়রানীর দায়ে আমাকে গ্রেফতার করবেন। তারপরও পুলিশ চিহ্নিত মাদক কারবারীর বাড়িতে না ঢুকে থানায় ফিরে গেলেন তারা।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাত ১১টায় রাজশাহী চারঘাট থানাধিন ইউসুফপুর কান্দি পাড়া এলাকায়।

এর আগে সোর্সদের সহযোগীতার জন্য সাংবাদিক চারঘাট সার্কেল এএসপি নূরে আলমকে ফোন দিয়ে জানান, ইউসুফপুর কান্দি পাড়া এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারীর বাড়িতে প্রচুর পরিমানে ইয়াবা আছে। তিনি বলেন, আমি ওসি চারঘাটকে বলছি। আপনি ওসির সাথে যোগাযোগ করেন।

এরপর ওসি মো. আলমগীর হোসেনকে ফোন দেয়া হয়। তিনি বলেন, ঠিকানা বলুন আমি ফোর্স পাঠাচ্ছি। এছাড়াও তিনি সাংবাদিককে এসআই আনোয়ারের মোবাইল ফোন নম্বর দেন।

এসআই আনোয়ারের মুঠো ফোনে যোগাযোগের প্রায় এক ঘন্টা পরে ইউসুফপুর কান্দি পাড়ায় আসেন তিনি। এরপর জানতে চান মাদক কারবারীর নাম। একাধিক মাদক মামলার আসামী ইউসুফের নাম বলার সাথে সাথে তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে সাংবাদিক ও সোর্সকে বলেন, আপনারা ফোন দিয়ে আমাদের বিরক্ত করেন কেন ? পরে তিনি সাংবাদিক ও সোর্সদের চলে যেতে বলেন।

তিনি বলেন, আপনাদের এখানে থাকতে হবেনা। আমি ইউসুফের বাড়ি খুঁজে নিচ্ছি। এ সময় তিনি কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে রাস্তায় ডেকে শুরু করেন নানা ধরনের নাটক। হৈচৈ পড়ে যায় এলাকায়।

সোর্স এসআইকে বলেন, আপনি ইউসুফের বশত ঘরে অভিযান চালান। ইয়াবা না পেলে আমাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান। তারপরেও রহস্যজনক কারনে এসআই আনোয়ার অভিযান না করে তার সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে থানায় ফিরে যান।

অভিযোগ উঠেছে, মাদকের রাজধানী চারঘাট থানা অঞ্চল। এখানে অনেক বড়বড় মাদকের গডফাদার রয়েছে। তারপরও তারা গ্রেফতার হয়না। মাদক কারবারীদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায় করেন লক্ষ লক্ষ টাকা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

তারা আরও বলেন, মাদক কারবারীদের মধ্যে মাদক সংক্লান্ত ঘটনা নিয়ে ইউসুফপুর এলাকায় একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে লেবার শ্রেণীর লোকজন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন। পুলিশ না চাইলে কিভাবে চলছে প্রকাশ্যে মাদকের ব্যবসা ?

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা জানান, মাদকের মাসোহারার টাকা সয়ং ওসির কাছে যায়। এছাড়াও বড় মাদক কারবারীদের সাথে ওসি সরাসরি ফোনে যোগাযোগ রয়েছে।

ইউসুফ এর বাড়িতে অভিযান না করে পুলিশ নিয়ে এসআই ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি বলেন, আমি তাদের অভিযানে পাঠানোর পরেও তারা কেন অভিযান করলো না। তা আমি বুঝতে পারছি না। তবে থানায় আসলে জানবো।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply