স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর মোহনপুরে স্বামী হারুন অর রশিদ (২৬) কে পছন্দ না হওয়ায় গলায় রশি পেচিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী কারিমা (১৪) কে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের বিষহারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মোহনপুর থানা পুলিশের তদন্তকারী অফিসার এসআই পারভেজ রানা পলাশ জানান, চলতি বছরের ১৯ মার্চ (২৫ দিনের মাথায়) জাহানাবাদ ইউনিয়নের বিষহারা গ্রামের বাসিন্দা রয়েজুল মন্ডলের ছেলে হারুন অর রশিদের সাথে ধুরইল ইউনিয়নের ভিমনগর পালশা গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী কারিমা খাতুনের ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক কালেমা করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে অপছন্দ ও তার সাথে বনিবনা না হওয়ায় মনঃক্ষুণ্ণ হন স্ত্রী কারিমা খাতুন।
গত ১৪ এপ্রিল রাত ১০টায় খাওয়া শেষে স্বামী স্ত্রী ঘুমোতে যান। সুযোগ বুঝে স্ত্রী কারিমা পাটের রশি দিয়ে স্বামীর দুই পা বেধে গলায় রশি পেচিয়ে স্বামী হারুন অর রশিদকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় স্ত্রী কারিমাকে পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে সে তার স্বামীকে হত্যার কথা শিকার করেছে। এ বিষয়ে মোহনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পাটের রশি ও গামছা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
খুনের ঘটনায় এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) সুমন দেব, মোহনপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম, তদন্ত ওসি তৌহিদুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
এদিকে হারুনের পরিবারের দাবি করেছেন তার স্ত্রী কারিমা খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে পরিকল্পিতভাবে হারুনকে খুন করছে এবং এ ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে।
মোহনপুর থানা কর্মকর্তা ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, আসামী কারিমা খাতুনকে আদালতের তোলা হলে বয়স বিবেচনায় বিজ্ঞ আদালত তাকে গাজীপুর জেলা কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র ও সংশোধনাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে ।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.