শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ড্রাইভারের দাপটে

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ড্রাইভারের দাপটে

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ড্রাইভারের দাপটে
পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ড্রাইভারের দাপটে

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (আউট সোর্সসিং) ড্রাইভার আরমান আলীর দাপটে অসহায় পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তিনি সরকারী সকল সুুবিধা ভোগের পাশাপাশি করছেন বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি। যা দেখার কেউ নেই। এ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সমলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় আরমান আলীর বাড়ী। তিনি আউট সোর্সসিং এর মাধ্যমে কাজ করতেন দপ্তরটির অন্য পদে। সেখান থেকে তিনি অলৌকিক ক্ষমতা খাটিয়ে ড্রাইভারের পদটি রপ্ত করে নেয় সুকৌশলে। হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগের আমিনুল ইসলামের নামে বরাদ্দকৃত সরকারী মোটরসাইকেল আরমান আলী একাই ব্যবহার করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মহিলা ভবনে তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন তিনি। নিজের খরচ বাঁচাতে তার স্ত্রী প্রায় প্রতিদিনই রোগী হিসেবে মেঝেতে রোগী হিসাবে ভর্তি থাকেন। হাসপাতালের খাবার গুলো রোগীদের জন্য বরাদ্দ থাকায় সরকারী খাবার ও ঔষুধ পত্র কৌশলে ভোগ করেন। এভাবে প্রায় প্রতিদিন সরকারি খাবার ও ঔষধপত্র অতিরিক্ত চলে যাচ্ছে।

এবিষয়ে ড্রাইভার আরমান আলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ৩ বছর আগে আউট সোর্সসিং হিসাবে চাকুরীতে যোগ দেই। প্রথমে আমি হাসপাতালের বহিঃ বিভাগে টিকিট কাউন্টারে কাজ শুরু করি। তারপর সরকারী গাড়ী আসলে আমি ড্রাইভার হিসাবে কাজ শুরু করি। স্যার আমাকে সরকারী বাসভবনে থাকার অনুমতি দিয়েছে তার পরিবার সহ তাই থাকি। লকডাউনের মধ্যে স্যারকে রাজশাহীতে রাখতে যাতযাত করতে হয় তাই মোটরসাইকেল দিয়েছিলো সেটা ব্যবহার করতাম। আমার বাড়ী দুর্গাপুর আমার স্ত্রী যখন না থাকে তখন মেডিকেলে ভর্তি থেকে খাবারটা খাই।

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমি রাজশাহীতে বাসায় আছি। আর একজন আউট সোর্সসিং ড্রাইভার আবাসিক ভবন, সরকারী মোটরসাইকেল ব্যবহারের নিয়ম আছে কিনা আমার জানা নাই। আগামীকাল অফিসে এসে আপনার সাথে কথা বলবো।

এবিষয়ে রাজশাহীর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ রাজিউল হক বলেন, আউট সোর্সসিং এ চাকুরি করে এরকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করাসহ রোগীর ওয়ার্ডে ভর্ত্তি দেখিয়ে খাবার খাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply