বাঘা প্রতিনিধিঃ শেষ হয়েছে গোপালভোগ , খিরশাপাত ও শেষের দিকে । পাওয়া যাচ্ছে ল্যাংড়া, খিরশাপাত(হিমসাগর), লক্ষণভোগ ও রাণীপছন্দ, আমরুপালি ।
তবে করোনায় ক্রেতা নেই, আর ক্রেতার অভাবে আমের দাম কমেছে বলে জানাযায় চাষী ও ব্যবসায়ী দের কাছ থেকে ।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানাযায় বর্তমানে ল্যাংড়া আম বিক্রি হয়েছে প্রতিমণ ১২০০- ১৪০০ টাকা, খিরশাপাত (হিমসাগর) ১৪০০-১৬০০ টাকা, লক্ষণভোগ ৬০০-৭০০ টাকা, দুধসর ৭০০-৮০০ টাকা মণ ।
এছাড়া আম বিক্রেতা রবি শেখ জানান, প্রতিকেজি খিরশাপাতি আম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ল্যাংড়া আম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লক্ষণভোগ ১৫ থেকে ২০ টাকা ও রাণীপছন্দ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, গুটি জাতের আম ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের দাবি, বাইরের ব্যবসায়ীরা আসতে পারছেন না লকডাউন ও করোনায় সংক্রমণের ভয়ে। এমন অবস্থায় প্রতিদিনই লোকসান হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে, বিভিন্ন আমের দাম মণপ্রতি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে।
একজন চাষী সাহিন আলম জানান, আম বিক্রি না করে উপায় ও নেই। আমে পরিপক্কতা এসেছে, গাছে থাকলেও পেকে পড়ে যাচ্ছে। নামিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
গস্তি ব্যবসায়ী আক্কাস আলী জানান, আমের দাম কম। কিন্তু তিন থেকে চার দিনের তুলনায় দাম বেড়েছে । আড়ৎ গুলোতে ল্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা , খিরশাপাত ৩৫-৪০লক্ষনভোগ ২০-২৫ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
আড়ৎদার দের থেকে জানাযায় , এবার তেমন পাইকার আসছেনা না। লকডাউন ও করোনায় আক্রান্তের ভয়ে অনেকেই আসছেন না। এ কারণে আমের দাম অনেকটা কম। এই সময়ে আমের দাম প্রতিদিন মণে কমপক্ষে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা করে বাড়ার কথা, সেখানে কমেছে।
চক ছাতারী গ্রামের আম ব্যবসায়ী রিপন আলী বলেন, ‘গতবার করোনা থাকলেও আমের দাম কম ছিল না। ঢাকা বা চট্টগ্রামের আড়তেও ৪০-৫০ টাকার ওপরে আম বিক্রি করা যাচ্ছে না। কিন্তু অন্যবার এই সমেয় গোপালভোগ, হিমসাগর বা ল্যাংড়া ৬০-৭০ টাকা কিনতে হয়েছে বাজার বা বাগান থেকেই।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.