শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে শতবর্ষী গাছ রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর

রাজশাহীতে শতবর্ষী গাছ রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর

রাজশাহীতে শতবর্ষী গাছ রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর
রাজশাহীতে শতবর্ষী গাছ রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পবা উপজেলা দামকুড়া থানার সামনে মধুপুর বটতলা এলাকায় শতবর্ষী একটি পাইকর গাছ কাটতে গিয়ে এলাকবাসীর বাধার মুখে পড়েছেন ঠিকাদারের লোকজন।

বুধবার (২৩ জুন) সকালে গাছটি না কাটার দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

জানা যায়, জেলা পরিষদ থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কাশিয়াডাঙ্গা হতে কাঁকনহাটে তিলাহারী পর্যন্ত মোট ১৯ টি গাছ দুই লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কাটার টেন্ডার পায় মেসার্স বকুল এন্টারপ্রাইজ। কেটে ফেলা গাছের তালিকায় মধুপুর বটতলা এলাকায় শতবর্ষী পাইকর গাছটিও রয়েছে।

তবে এলাকাবাসী গাছটি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এ জন্য পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষর রয়েছে।

আবেদন উল্লেখ করা হয়, গাছটির বয়স একশ’ বছরের বেশি। এই গাছের নিচে শত শত মানুষ বিশ্রাম করে। এছাড়া হাজারো পাখি এই গাছে বসবাস করে। গাছটি কেটে ফেললে একদিকে যেমন জনগণের বিশ্রামের স্থান নষ্ট হবে। তেমনি পাখি হারাবে তার নিবাস।

পবা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইাসলাম বলেন, এই গাছ আমার বাবা-দাদার আমলের। আমাদের গ্রাম ও মোড়ের পরিচিতি হিসেবে এই গাছ ব্যবহার হয়। এখানে অনেক পথিক গরমে এবং বৃষ্টিতে আশ্রয় নেয়। একইসঙ্গে অনেক পাখির বসবাস এই গাছে। তাই কোনোভাবেই এই গাছ কাটতে দেওয়া হবে না।

দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, গাছটি একদিন কাটতে এসেছিল। কিন্তু এলাকাবাসী তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন।

গাছ কাটার টেন্ডার পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স বকুল এন্টারপ্রাইজের মালিক বকুল হোসেন বলেন, জেলা পরিষদ থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কাশিয়াডাঙ্গা হতে কাঁকনহাটে তিলাহারী পর্যন্ত মোট ১৯টি গাছ দুই লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি। সব টাকা পরিশোধও করা হয়েছে। করোনার কারণে গাছ কাটতে পারিনি। এখন গাছ কাটতে যাওয়ার কথা শুনে এলাকবাসী বাধা দিচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে একটি আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি।

বকুল হোসেন বলেন, গাছের বাজারমূল্য এলাকাবাসী পরিশোধ করলে আমি গাছ কাটবো না। বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ঠিকাদার বকুল।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply