শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
ভারতে এক মাসেই ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু

ভারতে এক মাসেই ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু

ভারতে এক মাসেই ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু
ভারতে এক মাসেই ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। কিন্তু মহামারিতে মৃত্যুর কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে বড় রকমের গরমিল সামনে এসেছে। করোনা মহামারি চলাকালে দেশটির অতিরিক্ত ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে যাদের মৃত্যুর কারণ সরকারের হিসাবে ‘অজানা’ দেখানো হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে করোনায় কয়েক লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশি আরও তিন লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে যাদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘জ্বর’ বা ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে। এ ছাড়া ‘শ্বাসকষ্ট’ নিয়েও মারা গেছেন অনেকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের হিসেবে এসব কারণই করোনার উপসর্গ। কিন্তু এমন উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের কোনো পরীক্ষা করা হয়নি। ওই তিন লাখ ব্যক্তির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অজানা, এ বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো তথ্যও নেই।

২০১৩ সালে জাতীয় স্বাস্থ্য প্রকল্প (ন্যাশনাল হেলথ মিশন) শুরু করে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকল্পটির আওতায় হেলথ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এইচএমআইএস) স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সব ধরনের হিসাব রাখা হয়।

এইচএমআইএসের হিসাব অনুযায়ী, মহামারির আগে ২০১৯ সালের মে মাসে যত মানুষ মারা গিয়েছিল, ২০২১ সালের মে মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে তার চেয়েও তিন লাখ বেশি মানুষ মারা গেছে। এ ছাড়া চলতি বছরের মে মাসে এক লাখ ২০ হাজার ৭৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে একই মাসে তার আড়াই গুণ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে যাদের মৃত্যুর কারণ অজ্ঞাত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে প্রত্যেক মাসে ভারতে প্রতি মাসে গড়ে ২ লাখ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তা বেড়ে ৩ লাখ ১০ হাজারে পৌঁছায়। মে মাসে সেটি আরও বেড়ে হয় ৫ লাখ ১১ হাজারে পৌঁছায়।

এ বিষয়ে ছত্তীসগড়ের গ্রামীণ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা যোগেশ জৈন বলেন, ‘এসব মৃত্যুকে কোভিডে মৃত্যু হিসেবেই ধরা উচিত। মে মাসে যখন করোনায় গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় নিশ্চয়ই ম্যালেরিয়ায় এত লোকের মৃত্যু হয়নি।’

প্রসঙ্গত, বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ওপরের দিকে আছে ভারত। আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৬২ হাজার ৩১ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার ৭২ জনের।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার (১১ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন আরও ৭ হাজার ২৮১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২২ হাজার ৭০৬ জন। এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হলো ৪০ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৫ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ কোটি ৭২ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৬ জন।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply