মোঃ আরিফুল হক (রুবেল): মাদক নিয়ন্ত্রণ, অপরাধ রোধসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেনের নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুঠিয়া থানা পুলিশ। তাঁর যোগদানের পর থানাকে করেছেন দালালমুক্ত, কমেছে রাজনৈতিক প্রভাব। গা ঢাকা দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন অপরাধীরা। এ কারণে তিনি সাধারণ মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন সৎ ন্যায় নিষ্ঠাবান অফিসার হিসাবে।

থানার সেকেন্ড অফিসার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের বন্ধু আর অপরাধীদের শত্রু। সাধারণ মানুষের শান্তি ও আইনি সহায়তা দেয়াই এখন পুঠিয়া থানা পুলিশের প্রতি মুহূর্তের কাজ। নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে থানার সকল অফিসারদের নির্দেশনা দিয়েছেন ওসি স্যার। সেই মোতাবেক আমরা সকল অফিসাররা কাজ করে যাচ্ছি। এর মধ্যেই তিনি করেছেন থানাকে দালাল ও তদবির মুক্ত।

থানার এলাকায় সার্বিক আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানায়, ওসি স্যারের দায়িত্বশীল নির্দেশনা ও তাঁর তৎপরতায় গত ৫ মাসে ২৮ মামলায় তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীসহ ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ৯ কেজি ৭১৫ গ্রাম গাঁজা, ১৫০ গ্রাম হেরোইন, ১৪২৫ পিস ইয়াবা, ১৭ লিটার চোলাইমদ ও ৮ কেজি তাড়ি। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ী গডফাদারদের আটকের জন্য সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে সাক্ষাত কালে তিনি পুঠিয়া উপজেলাকে শতভাগ মাদক নির্মূলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ ব্যক্ত করে বলেন, পুলিশ জনতা আর জনতাই পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশের এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পুঠিয়া উপজেলাবাসীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বন্ধুর মতোই জনগনের পাশে থেকে আমি জনগনের জানমালের নিরাপত্তা দিতে চাই।

পাশাপাশি থানার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সাংবাদিক ও সচেতন মহলসহ এলাকাবাসীর সুষ্ঠু ও সুপরিকল্পিত দিক নির্দেশনা আশা করেন ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন ।

মতিহার বার্তা / ইএবি