শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীর সাহেব বাজারে স্কুলড্রেস কিনতে উপচেপড়া ভিড়

রাজশাহীর সাহেব বাজারে স্কুলড্রেস কিনতে উপচেপড়া ভিড়

রাজশাহীর সাহেব বাজারে স্কুলড্রেস কিনতে উপচেপড়া ভিড়
রাজশাহীর সাহেব বাজারে স্কুলড্রেস কিনতে উপচেপড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘ দেড় বছরেরও অধিক সময় বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে প্রায় সব শিক্ষার্থীর পুরোনো পোশাক ও পায়ের জুতা হয়েছে ছোট। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে স্কুল খোলার ঘোষণার পর থেকেই রাজশাহীর পোশাক ও জামার দোকানগুলোতে অভিভাবকদের উপচেপড়া ভিড়।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে নগরীর সাহেব বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দোকানগুলোর সামনে জটলা পাকিয়েছেন প্রায় অর্ধশত অভিভাবক। আবার অনেকে সেই ভিড় দেখে অনেকে দাঁড়িয়ে আছেন দোকানের বাইরে। ফাঁকা হলেই ঢুকবেন দোকানে।

রাজশাহীর সবচেয়ে জনপ্রিয় পোশাকের দোকান ফয়সাল গার্মেন্টেস। সেখানে অর্ধশতাধিক মানুষের ভিড়। প্রায় যুদ্ধ করেই সন্তানের জন্য স্কুলের পোশাক কিনছেন অভিভাবকরা। এদের একজন মো. আব্দুল কুদ্দুস। রিভার ভিউ হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তার ছেলে। ভিড়ের কারণ জানতে চাইলে হাস্যরস করে তিনি বলেন ওঠেন, ‘আগামীকাল (রোববার) বাচ্চাদের ঈদ। তাই পোশাক কিনতে এসেছি।’

ঈদ কেনো মনে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদ বলবো না তো কী বলবো বলেন…। দেড় বছরের বেশি সময় পর স্কুল খুলছে। এতে বাচ্চারা অনেক মজাতেই আছে। আমি দুপুরে খেয়ে ঘুমিয়েছিলাম। আমার ছেলে বলেই যাচ্ছে, বাবা চলো, কাল স্কুল, ড্রেস কিনতে হবে। এভাবে আমাকে টেনে তুলে বাজারে নিয়ে এসেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমার ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তার স্কুল ড্রেস ছোট হয়ে গেছে। তাই সকালে আমার ছেলের ড্রেস কিনতে এসেছিলাম। দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে রাগ করে চলে গেছি। দোকানের লোকগুলো জানায় দুপুরে ভিড় কম। তাই দুপুরে আবারও এলাম।

নগরীর সিপাহীপাড়ার বাসিন্দা শাহিন পারভীন। এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে তার ছেলে। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বানানো হয়নি কোন স্কুলড্রেস। ছেলেও বড় হয়েছে, পুরোনো ড্রেসও ছোট হয়েছে। তাই কিনতে এসেছেন স্কুলড্রেস। জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমি বাজারে এসেছি। দোকানে উপচেপড়া ভিড়। অনেক কষ্টে আমার ছেলের জন্য ড্রেস কিনতে পেরেছি। কিন্তু ফিট না হওয়ায় চেঞ্জ করার জন্য আবার দাঁড়িয়ে আছি।

ক্রেতাদের ভিড় ঠেলে ভেতরে গিয়ে কথা হয় ফয়সাল গার্মেন্টেসের মালিক আব্দুল মালেকের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল ১০টায় খুলি রাত ১০টায় বন্ধ করি। এখন ১২টা বাজে বন্ধ করতে। দোকানে আমিসহ ছয়জন কর্মচারী আছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছি না। তাই আমার বাড়ি থেকে আরও চার সদস্য এনেছি দোকান সামলাতে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন আমার এখানে প্রায় ১৪০০ থেকে ১৫০০ ড্রেস বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিদিন জুতা বিক্রি হচ্ছে তাও ৫০০ থেকে ৭০০ পিস। গত এক সপ্তাহের চিত্র এটি। এর আগে প্রায় দেড় বছর বসেই কাটিয়েছি। আজ শেষ দিন তারপরও ছাত্র-অভিভাবকদের উপচেপড়া ভিড় সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।

 মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply