শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চত্বর’ নির্মাণে রাসিক মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান

অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চত্বর’ নির্মাণে রাসিক মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান

অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চত্বর’ নির্মাণে রাসিক মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান
অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চত্বর’ নির্মাণে রাসিক মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার: ৮০’র দশকে রাজশাহীর স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনে বীর শহীদ ছাত্র নেতাদের স্মৃতিস্তম্ভ ‘অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চত্বর’ নির্মাণের দাবিতে রাজশাহী সিটি কর্পোশেনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনকে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ৮০’র দশকের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, রাজশাহীর নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনে মেয়র মহোদয়ের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তারা।

স্মারলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘৮০’র দশকের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, রাজশাহী আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমাদের প্রাণ প্রিয় এই মহানগরের ঐতিহ্যের সাথে আধুনিকতাকে যুগলবন্ধি করে এক বিস্ময়কর মনোরম নান্দিকতার বৈচিত্রময় শহর হিসেবে গড়ে তোলার যে রূপকল্পের বিনির্মাণ করেছেন, তার জন্য রাজশাহীবাসী আপনাকে অফুরন্ত ভালোবাসায় সিক্ত করেছে।

পদ্মার পলি বিধৌত আমাদের এই নগর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি তেমনি সংগ্রামি ঐতিহ্যের এক বিশাল ভান্ডার। নাচোলের তেভাগা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫২‘র ভাষা আন্দোলন, ৬২‘র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯‘র গণ অভ্যুত্থান সহ সকল আন্দোলনে এই অঞ্চলের জনগণের ভুমিকা ছিল গৌরবজ্জল।

বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন ৭১‘র মুক্তিযুদ্ধ এই যুদ্ধে গৌরবের বিজয় রাজশাহীর জনগণের ত্যাগ আর সাহসী প্রতিরোধ ইতিহাসের পাতায় চির অমর হয়ে থাকবে। ৮০‘র দশকজুড়ে গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রামী ভুমিকা আপনার শহরের সাহসী মানুষ সাহসীকতার সাথে পালন করেছে, তা সংগ্রামের ইতিহাসকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।

রাজশাহীবাসীর এই সকল বীর গাঁথা ইতিহাসকে সমুন্নত রাখতে এবং সংগ্রামী চেতনাকে জাগিয়ে রাখতে রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে কোথাও এক ‘অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চত্বর’ বিনির্মাণ যা সময়ের দাবি এবং আপনারও কল্পরাজ্যের মধ্যে রয়েছে। গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িকতা মুক্তিযুদ্ধের ধারার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এই চত্বর ইতিহাসে এক অদম্য সাহসী ভুমিকা পালন করবে। আপনার হাত ধরে এই মহতী উদ্যোগ এগিয়ে যাবে, যেখানে উন্নয়নের পাশাপাশি সংগ্রামী চেতনার মেলবন্ধন ঘটবে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে রাকসুর সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না, ৮০’র দশকের সাবেক ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আসাদুজ্জামান আসাদ, সরিফুল ইসলাম বাবু, আব্দুল মমিন, মেরাজুল আলম, কামরান হাফিজ, হাবিবুর রহমান বাবু, শফিকুজ্জামান শফিক, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply