শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন হয় না : আমীর খসরু

ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন হয় না : আমীর খসরু

মতিহার বার্তা ডেস্ক : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন রুদ্ধ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আজ শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, যেখানে বাংলাদেশের নাগরিক থাকুক, আজকে দেশের মানুষের গন্তব্য স্থল একটিই- গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার করা, মৌলিক অধিকার-ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করা, আইনের শাসন পুনরুদ্ধরা করা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করা, বাকস্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করা প্রত্যেকটা মানুষ সেই সংগ্রামের পথে চলছে, আমরা সেই সংগ্রামের পথেই চলছি, বিএনপি সেই পথে চলছে। এটাই সঠিক পথ, এটাই জনগণের পথ, এটাই গণতন্ত্রের পথ, এটাই ন্যায়ের পথ। আমি স্পষ্ট করে সাথে বলতে চাই, দেশনেত্রী গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে যদি কেউ মনে করে সেই পথ রুদ্ধ করে দেবে- তারা বোকার রাজ্যে বসবাস করছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় আবদুস সালাম হলে জিয়া পরিষদের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, প্রকৌশলী রুহুল আলম, রবিউল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন সম্পর্কে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশনেত্রী বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে উনাকে মুক্ত করে আমরা বাংলাদেশের জয়ের পথে যাবো। দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে এবং সেটার আন্দোলনের ধরণ কী হবে, সেটার কর্মসূচি কী হবে তা সময় বলে দেবে। আমাদের মধ্যে আবার অনেকে আছেন, আমরা বলি, রোজার পরে আন্দোলন হবে, ঈদের পরে আন্দোলন হবে, ওমুকের এটার পরে এটা হবে। আমরা বলতে চাই, বলে-কয়ে আন্দোলন হয় না। পানি যেরকম তার গতি বেছে নেয়, আন্দোলনও তার নিজ গতি বেছে নেয়। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা পুরনে দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য যে আন্দোলন সৃষ্টি হবে, সেই আন্দোলন বলে কয়ে আসে না। সেই আন্দোলন আসবে, দেশ মুক্ত হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন ইনশাআল্লাহ।

দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দি ও অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ হয়।

আজ শুক্রবার সকাল পৌনে এগারোটার দিকে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড়, স্কাউট মার্কেট ঘুরে ফকিরাপুল অভিমুখে কিছুদূর গিয়ে নয়াপল্টন মসজিদ ঘুরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশে নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি আর চলতে দেয়া যায় না। স্বৈরশাসনের কষাঘাতে জনগণের মনে বিষাদঘন অবস্থা বিরাজমান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে দস্যুবৃত্তির পন্থায়। তাঁকে চিকিৎসা না দিয়ে অসুস্থতাকে গুরুতর করার যাবতীয় ব্যবস্থা করে যাচ্ছে সরকার। বেগম জিয়া যাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সেই প্রহর গুণছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৫ এর হুবহু বাকশাল পুণঃপ্রর্বতনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এক ভয়াবহ অশনী সংকেত। দেশে আরও বিপজ্জনক দুঃসময়ের অশুভ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র হত্যাই আওয়ামী লীগের আদর্শ। ক্ষমতায় এসে এরা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালিয়ে জনগণকে বারবার ক্রীতদাস বানিয়েছে। বাকশাল সেই ক্রীতদাস বানানোরই ব্যবস্থা। গণতন্ত্র যাতে পুনরুজ্জীবিত হতে না পারে সেজন্য এদেশের জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে বিনা দোষে, বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারান্তরালে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশের কারাগারগুলো এখন শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কয়েদখানাতে পরিণত হয়েছে, যেখানে তিনি তার খেয়াল-খুশি মতো বিরোধী রাজনীতিবিদদেরকে বন্দি রাখতে পারেন। এই নব্য বাকশালের বিরদ্ধে এখন সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। নইলে দেশে ঘন অন্ধকার অমানিষা ঘনিয়ে আসবে। এজন্যই সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে হবে। সুত্র: নয়া দিগন্ত

মতিহার বার্তা ডট কম  ২৩ মার্চ ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply