শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রামেকে তিন দিন ধরে বন্ধ করোনা পরীক্ষা

রামেকে তিন দিন ধরে বন্ধ করোনা পরীক্ষা

রামেকে তিন দিন ধরে বন্ধ করোনা পরীক্ষা
রামেকে তিন দিন ধরে বন্ধ করোনা পরীক্ষা

রাজশাহী প্রতিনিধি: আবারো লোক সঙ্কটের কারণে বন্ধ পড়ে রয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাব। রামেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কর্মরত দুজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিজ কর্মস্থলে যোগদান করায় হাসপাতালের ল্যাবে করোনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে।

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।

প্রতিবেদককে তিনি বলেন, রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) বিভাগীয় ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের এসএম হাসান এ লতিফ ও হামিদ আহমেদ নামের দুজন মেডিকেল অফিসার রামেক হাসপাতালের ল্যাবে কাজ করছিলেন। ২০২০ সালের মার্চের দিকে তাঁদের ডিএনএ ল্যাব থেকে আনা হয়। সম্প্রতি ওসিসিতে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় তারা তাদের নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেন। একারণে তারা অব্যাহতি দিয়ে নিজ কর্মস্থলে চলে যায়।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ল্যাবের টেকনোলজিস্টরা সম্প্রতি এই দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্ধেক রিঅ্যাকশন ব্যবহার করে করোনা পরীক্ষার পর বাকি অর্ধেক সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন। অভিযোগকারীদের দাবি, অন্তত ২ হাজার কিট গায়েব করে দেওয়া হয়েছে।

তবে এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ নভেম্বর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান শাহ আলমকে। এ কমিটি কিট গায়েবের প্রত্যক্ষ প্রমাণ পায়নি। তদন্ত কমিটির ভাষ্যমতে, ল্যাবে কাজের চাপের কারণে ব্যবহৃত কিটের সাথে কাগজপত্রের কিটের সংখ্যা তোলা হয়নি। তবে ব্যবহৃত কিটের সংখ্যার সাথে পরে কাগজপত্রে উল্লেখিত ৪৯ হাজার ৪০০ কিটের সংখ্যার সাথে মিলে যায়। পরে ২১ নভেম্বর রামেক কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে ভুল বোঝাবুঝির বিষয়টি তুলে ধরেন প্রকৃত সত্য ঘটনাটি।

জানতে চাইলে এস এম হাসান বলেন, আসলে ল্যাব পরিচলনার আসল কাজ মলিকিউলার বায়োলজিস্টরা। বর্তমানে আমাদের বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ টেস্টের প্রচুর চাপ বেড়েছে। আইনি মামলার কারণে অনেক ল্যাব টেস্টে পেন্ডিং রয়েছে। আর সে কারণেই আমরা অব্যাহতি নিয়েছি। তাছাড়া বর্তমানে সরকার মলিকিউলার বায়োলজিস্টদের ল্যাব কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে থেকে ল্যাব পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল দিয়ে ল্যাব পরিচালনা করা দরকার।

তিনি বলেন, মূলত ২০২০ সালের মার্চে আমরা রাজশাহী ইউনিভারসিটির মলিকিউলার বায়োলজিস্টদের কাছে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সেচ্ছায় দূর্যোগকালীন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য করোনা ল্যাবে এসেছিলাম কাজ করতে। দীর্ঘ দুবছর বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছি। কিন্তু আমাদের নিজেদের কর্মস্থলে কাজের চাপ ও ডাক আসায় অব্যাহতি দেয়। তারপরও হাসপাতাল পরিচালক অনুরোধের কারণে গত ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ল্যাবে কাজ করি। ১৭ ডিসেম্বরে নিজ ল্যাবে কাজ শুরু করি।

কিট সরিয়ে নেওয়া অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কাজের প্রচন্ড চাপের কারণে কিটের হিসেব রেজিস্টার খাতায় তোলা হয়নি। এসব কাজ আমাদেরও নয়। এসব অভিযোগ যে ভিত্তিহীন তা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ফরেনসিক বিভাগে ওসিসিতে বিভিন্ন মামলার কারণে ডিএনএ টেস্টের চাপ অনেক বেড়েছে। তারপরও আমার অনুরোধে তারা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ল্যাবে কাজ করেছে। ১৭ তারিখ থেকে তাঁরা না থাকায় ল্যাব বন্ধ।’

রামেক পরিচালক বলেন, এখন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও কম। তাই যা নমুনা মিলছে তা নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। ল্যাব বন্ধ পড়ে থাকার বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তারা জনবল দেওয়ার আশ^াস দিয়েছেন। তবে অভিযোগ কিংবা ক্ষোভের কারণে ওই দুই মেডিকেল অফিসার অব্যাহতি দেননি বলেও জানান রামেক পরিচালক।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply