শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীর বাজারে সবজি ও মাছের দাম উর্ধ্বমুখী

রাজশাহীর বাজারে সবজি ও মাছের দাম উর্ধ্বমুখী

রাজশাহীর বাজারে সবজি ও মাছের দাম উর্ধ্বমুখী
রাজশাহীর বাজারে সবজি ও মাছের দাম উর্ধ্বমুখী

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচাবাজারগুলোতে শাক-সবজির দাম। সেই সাথে মাছের বাজারে দামও উর্ধ্বমুখী । আর গত সপ্তাহের মতই স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজ, মুরগী ও ডিমসহ মুদি সামগ্রীর দাম। কমেনি গরু-খাঁসির মাংস ও নদীর মাছের দাম। ফলে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের উর্ধ্বগতির কারণে এখন বিপাকে পড়েছে রাজশাহীর নিন্ম ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা।

গতকাল শুক্রবার রাজশাহীর সাহেব বাজার ও মাষ্টার পাড়া বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এ সকল তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মিরকা, কাতলা, রুই ও সিলভারসহ কার্প জাতীয় মাছের দাম বেড়েছে।

বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে, এক হাজার ৫০ টাকা কেজি দরে। আর ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা। মিড়কা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা। কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০ টাকা। এই মাছ গুলো গত সপ্তাহের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। কেজি দরে শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে-৬০০ টাকা, মাগুর মাছ ৪০০ টাকা, নদীর পিওলি মাছ ৮০০ টাকা, বাঁশপাতা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পাবদা ৭০০ টাকা, বোয়াল ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, বড় আইড় ৮০০ থেকে ১২০০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। নদীর এই মাছ গুলো গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

সাহেব বাজার এলাকার মাছ বিক্রেতা সোহেল রানা জানান, ‘এ সপ্তাহে মাছের আমদানি কম কম তাই দামটা একটু বেশি। তবে আগামী সপ্তাহে দাম কমার সম্ভবনা রয়েছে’।

মাছ ক্রেতা,‘রুবেল জানান গত সপ্তাহে যে মাছ ২০০ টাকায় কিনেছি আজ সেই মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বাজারে মাছের দাম হটাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের মত মধ্যবিত্ত মানুষের সমস্যা হচ্ছে।

এ সপ্তাহে সবজির দামটাও কিছুটা উর্ধ্বমুখী। বাঁধাকপি, বেগুন, ফুলকপি, ব্রকলিসহ কয়েকটি সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, এছাড়াও শিম, গাজর, শশা, লাউ, টমেটোসহ সকল সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

সাহেব বাজারের সবজি বিক্রেতা শামসুল ইসলাম জানায়, এ সপ্তাহে প্রতিটি সবজির দাম ২-৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারী ভাবে একটু বেশি দামে কিনেছি তাই খুচরা দাম একটু বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে’।

মাষ্টার পাড়া এলাকার সবজি ব্যবসায়ী মাজদার জানান, ‘সবজির দাম গত দুইদন থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে বেড়েছে সবজির দাম’।

সবজি ক্রেতা ফারহানা জেরিন জানান, ‘শীতকালে প্রচুর সবজির আমদানি দেখছি তবুও আজ কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে সবজির দাম বাড়েনি আজ হটাৎ করে দাম বেড়েছে।’

গত সপ্তাহের মত এ সপ্তাহে সকল মুদিপন্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। সাহেব বাজার এলাকার মুদি বিক্রেতা মাসুদ জানান, চাল, চিনি, আটাসহ সকল মুদি সামগ্রীর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ার বিষয়ে পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা কেজি দরে, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮২০ টাকা কেজি দরে ।

মুরগির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি, সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৯০ টাকা কেজি দরে। মুরগি ব্যবসায়ী মিঠু জানান, বছরের প্রথম সপ্তাহের মুরগির দাম বৃদ্ধি পেয়েছিলো পরের সপ্তাহ থেকে দাম কমেছে।

এছাড়াও ডিমের দামের কোন পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি। লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৪ টাকা হালি, সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা হালি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply