রাবি প্রতিনিধি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশি হামলা নতুন কিছু নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়েও হামলা হয়েছে। ২০১৪ সালে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা হয়েছে। ২০০৩ সালে রোকেয়া হলের ছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা হয়েছিল। এখনো হামলা হচ্ছে তার প্রমাণ শাবিপ্রবির হামলা। একজন শিক্ষার্থীর যদি কিছু হয় তাহলে ছাত্র আন্দোলন কি হতে পারে বুঝতে পারছেন না। পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করবেন না, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিন।
একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, ছাত্র আন্দোলন গত ১০-২০ বছর দেখছি। শাবিপ্রবিতে তারা প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করতে চেয়েছিল। শিক্ষার্থীরা ১৪০ ঘণ্টার বেশি সময় অনশন করছে কিন্তু সেদিকে নজর নেই সরকারের। আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে রয়েছি। আমাদের কর্মসূচি চলবে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী এবং একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারী ব্যক্তি উপাচার্য থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন। আমরাও তার পদত্যাগ চাই।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, নৈতিক দায়িত্ব থেকে এখানে এসেছি। হলের প্রভোস্টের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ ছিল। তাদের আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা তাদের পেটালো। উপাচার্যের ইন্দনে পুলিশও পেটাল। সরকার আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ খুঁজছে। এখানে ষড়যন্ত্রের গন্ধ না খুঁজে শিক্ষার্থীদের বাঁচান। তারা জীবন বাজি রেখে অনশন করছে।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা বলেন, অধ্যাদেশে ভিসি নির্বাচনের কথা বলা আছে। কিন্তু গত ত্রিশ বছর ধরে এই অধ্যাদেশ মতো নিয়োগ চলে না। অনির্বাচিত ভিসি ও প্রশাসকের কাজ থাকে গ্ৰুপ তৈরি করা। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভিসি নির্বাচন চাই। শাবির ঘটনা এক দিনের বিস্ফোরণ নয়। ফুঁসে থাকা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বিস্ফোরণ। তাই গণতান্ত্রিক ভিসি প্রয়োজন।
এসময় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মো. আলী রেজা উপস্থিত ছিলেন। অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ অন্তর, শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলনসহ অন্যান্য বাম ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.