বিনোদন ডেস্ক: এসবের মধ্যেই বহরমপুরে তৃণমূলের সমর্থনে প্রচারেও বেরিয়ে পড়লেন তিনি। কয়েকদিন আগেও তিনি ছিলেন বিজেপিতে। সেক্ষেত্রে কবে তিনি তৃণমূলে এলেন এটা নিয়ে খটকা লাগছিল অনেকের।
তাঁর হাসিতে কুপোকাত হয়েছেন অনেকেই। আর ২১শের মহারণের আগে কার্যত হাসতে হাসতেই গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। এরপর বেহালা পশ্চিমে তাঁকেই প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরেও যান তিনি। এদিকে তারপর থেকেই আচমকাই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ। একসময় ঘোষণাই করে দিলেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়, গেরুয়া ত্যাগ করছেন তিনি। কিন্তু এরপরই প্রশ্ন ওঠে তবে কি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন তিনি? নাকি ভিড়ে যাবেন তৃণমূলে?

নানা জল্পনা ছড়াচ্ছিল শ্রাবন্তীকে ঘিরে। আর এসবের মধ্যেই বহরমপুরে তৃণমূলের সমর্থনে প্রচারেও বেরিয়ে পড়লেন তিনি। কয়েকদিন আগেও তিনি ছিলেন বিজেপিতে। সেক্ষেত্রে কবে তিনি তৃণমূলে এলেন এটা নিয়ে খটকা লাগছিল অনেকের। আর সেই খটকা কিছুটা দূর করলেন খোদ শ্রাবন্তী। তিনি বলেন, আমরা অভিনেত্রী। আজ অন্য়ভাবে এসেছি। তৃণমূলের হাত শক্ত করুন। আপনারা না পাশে দাঁড়ালে এগোতে পারব না। মমতাদি আমাদের কাছের দিদি। ভালো মানুষ। পাশে থাকেন সবসময়। ঘরের মেয়ের মতো। আমরা ভালোবাসি। জোড়াফুলে ভোট দিন। তৃণমূলকে জয়ী করুন। এসবের মধ্যেই অনেকের মনেই প্রশ্ন, তিনি ভালো মানুষ দিদিকে ছেড়ে ভোটের আগে কেন গেরুয়া শিবিরে গিয়েছিলেন?

এসব প্রশ্নের স্বাভাবিকভাবেই উত্তর মেলে না। কিন্তু বিজেপি ছেড়ে শ্রাবন্তী কি এবার তৃণমূলে? সেই হেসে হেসেই উত্তর দিলেন শ্রাবন্তী, আমি জোড়াফুলেই। তবে অভিনেত্রীর মুখে একথা শুনে দলবদল দেখে অভ্যস্ত অনেকেই হয়তো হতবাক হন না আগের মতো।

মতিহার বার্তা / ইএবি