শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীতে তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি

রাজশাহীতে তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি

রাজশাহীতে তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি
রাজশাহীতে তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি

মোঃ আনোয়ার হোসেন : রাজশাহীতে প্রচন্ড তাপদাহে ও বৃষ্টির অভাবে ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি। এ অবস্থায় ফলন বিপর্যয়ের পাশাপাশি আমের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রাজশাহী ও বাঘা অঞ্চলের আমচাষি, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। তবে হতাশ না হয়ে আমগাছের গোড়ায় পানি সেচ, নিয়মিত পরিচর্যা ও বালাইনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন ফল গবেষকরা।

জানা গেছে, চলতি আম মৌসুমের শুরুতে দুদফা বৃষ্টির কারণে এবং মুকুল আসার পর মেঘলা আবহাওয়ায় গাছে মুকুল জ্বলে অনেকটা নষ্ট হয়। আর এবছর ৬০-৬৫ ভাগ ফলনের আশা নিয়ে বুক বেঁধেছিলো রাজশাহী ও বাঘার আমচাষিরা। কিন্তু কিছুদিন ধরে প্রচন্ড তাপদাহ অব্যাহত থাকায় ও বৃষ্টি না হওয়ায় ঝরে পড়ছে আমের গুটি। যদিও কেউ কেউ রাতদিন সেচ ও স্প্রে করে চেষ্টা করছেন আমগুলোকে বাঁচানোর। কিন্তু অধিকাংশ চাষিই পূঁজি এবং পানির অভাবে সেচ দিতে পারছেন না। বৃষ্টির অপেক্ষায় তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে ।

বাঘার আমচাষি শাহানুর রহমান বাবু বলছেন, চলতি মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ায় এমনিতেই আমবাগানে মুকুল এসেছে, তারপর আবার মেঘলা আবহাওয়া ও কুয়াশায় মহা (ছত্রাকনাশক রোগ) লেগে অনেক মুকুল নষ্ট হয়ে যায়। আর গুটি আসার পর প্রচন্ড তাপদাহে এবং বৃষ্টির অভাবে প্রতিটি আমবাগানে বিপুল পরিমান আমের গুটি ঝরে পড়েছে। সামনের দিনগুলোতে আরও কয়েকদিন এ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে আরও আমের গুটি ঝরে পড়ার আশংকা করছেন তারা। এ অবস্থায় চলতি মৌসুমে আমের ভবিষ্যৎ কি হবে? তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় এ অঞ্চলের আম চাষিরা।

রাজশাহী বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শফিউল্লাহ সুলতান জানান, চলতি মৌসুমে জেলার সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমির বাগানে ৯৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এবার মুকুল আসতে কিছুটা দেরি এবং প্রচন্ড তাপদাহ ও বৃষ্টির অভাবে আমের গুটি ঝরে পড়ার বিষয়ে গাছের গোড়ায় পানির সেচ এবং বালাই ব্যবস্থাপনার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে আমচাষীদের। তবে, বৈরী আবহাওয়ায় এবার ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে। আর এখন প্রচন্ড খরার হাত থেকে আম রক্ষার্থে গাছের গোড়ায় সেচ দিলেই হবে। শেষ পর্যন্ত প্রকৃতিক দূর্যোগ দেখা না দিলে ও আবাহওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের আশা এই কৃষি অসিফারের।

মতিহার বার্তা/ এম জি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply