অনলাইন ডেস্ক: ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙে এবার ২০ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তায়। এতে পানির নিচে তিস্তার চরাঞ্চল। শত শত মানুষের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন কৃষির সবকিছুই গিলে খেয়েছে অকাল ঢলের পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, অন্যান্য বছর এ সময়ে ২ হাজার কিউসেক পানিও আসত না। কদিন পরই গোলায় উঠতো ধান। কিন্তু হঠাৎ ঢলের পানি প্রবেশ করে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ডুবে আছে কাঁচা-পাকা ধান। তড়িঘড়ি করে সেটাই কাটতে ব্যস্ত কৃষকরা। পেঁয়াজ, রসুনের অবস্থাও শোচনীয়। পানিতে ভাসছে কুমড়া আর তলিয়ে আছে কাউন ও বাদামের আবাদ।
আন্তঃদেশীয় নদী তিস্তা বাংলাদেশে প্রবেশের পর নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্রে মিলিত হওয়া পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে প্রায় সোয়া একশ কিলোমিটার। শুষ্ক-মৌসুমে পুরো অববাহিকার দুই ধারে হাজার হাজার বিঘা চরের জমিতে আবাদে জীবিকা নির্বাহ করেন অন্তত ৫০ হাজার পরিবার।
কাঁচা ধান কেবল পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্যই পানি থেকে কেটে তুলছেন কৃষক। পেঁয়াজ-রসুন হাটে নিলেও মিলছে না দাম। এতে কৃষকদের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
অন্যান্য বছর ২ হাজার কিউসেক পানি না এলেও এবার ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙে ২০ হাজার কিউসেক পানি তিস্তায় প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ) আহসান হাবিব। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে পানি প্রবাহের এ পরিবর্তন। চরাঞ্চলের নিচু জমিতে কিছুটা ফসলহানি হয়েছে। আশা করা যায়, পানি বৃদ্ধির এ প্রবণতা থাকবে না। দ্রুতই পানি কমে আসবে।
আর তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতোই তিস্তাকে সুরক্ষিত করতে হবে। বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে তিস্তা খনন করতে হবে, সুরক্ষা করতে হবে। তা না হলে এ অঞ্চলের যে দুই কোটি মানুষ তিস্তার ওপর নির্ভরশীল এবং কৃষি বিপন্ন হবে।
মতিহার বার্তা / এম আর টি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.