ফারহানা জেরিন: বলিউড সিনেমায় ভিলেন বললেই আমাদের মনের মধ্যে একটা ছবি ভেসে ওঠে। কঠিন-কঠোর মুখ। ভয়ঙ্কর চাউনি। যে চাউনি দর্শকদের মধ্যে ভয় আর ঘৃণার উদ্রেক করবে।
আশি এবং নব্বই দশক জুড়ে ভিলেনের এই ধারণা তৈরি হয়েছিল যে সিনেমাগুলি থেকে তার মধ্যে অন্যতম হল ‘শোলে’।
১৯৭৫-এর ১৫ অগস্ট মুক্তি পাওয়া এই ছবিটির ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আমজাদ খান। যিনি পরবর্তী কালে বহু ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
পর্দায় যে মানুষটির ভয়ঙ্কর একটা কঠিন মুখ দেখতে অভ্যস্ত দশর্করা, তাঁর একটা কোমল হৃদয় ছিল।এ হেন মানুষটি ১৯৯২ সালের ২৭ জুলাই হঠাৎ-ই মারা যান।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর ছেলে শাদাব খান বলেন, আমজাদের হঠাৎ মৃত্যুর পর তাঁরা প্রবল অর্থকষ্টে পড়েছিলেন।শাদাবের দাবি, তাঁদের এমনটা হাওয়ার কথা ছিল না। কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন আমজাদ মারা যান। তিনি যথেষ্ট উপার্জন করতেন।
কিন্তু আয় যেমন করতেন তেমনই তিনি বন্ধুদের অকাতরে টাকা দিয়ে সাহায্যও করতেন। ছেলের কথায়, বাবা ব্যাঙ্কের বদলে বন্ধুদের কাছে টাকা রাখতে ভালবাসতেন।
শাদাবের দাবি, প্রযোজকরা তাঁর বাবার কাছে এসে তাঁদের অর্থকষ্টের গল্প শোনাতেন। তার পর আমজাদের কাছ থেকে তাঁরা সাহায্য চাইতেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমজাদ তাঁদের টাকা দিয়ে সাহায্য করতেন।শাদাব জানিয়েছেন, বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন একধিক প্রযোজকদের কাছে সব মিলিয়ে প্রায় সওয়া কোটি টাকা পান তাঁরা।
কিন্তু ‘গব্বর’ মারা যাওয়ার পর কেউ সেই টাকা দিতে আসেননি। তবে যাঁরা অল্প টাকা ধার নিয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই টাকা ফেরত দিয়েছিলেন বলে জানান শাদাব।শাদাব আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘বাবা মারা যাওয়ার চার মাস পর মধ্যপ্রাচ্যের এক গ্যাংস্টার আমার মাকে ফোন করেছিলেন।’’ফোন করে তিনি বলেন, তিনি জানতে পরেছেন আমজাদ ইন্ডাস্ট্রির অনেকের কাছে টাকা পান। যা সব মিলিয়ে সওয়া কোটির কাছাকাছি।
তিন দিনের মধ্যে সেই টাকা তিনি উদ্ধার করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন ওই গ্যাংস্টার।
কেন এই সাহায্যের আশ্বাস? এর উত্তরে তিনি বলেন, আমজাদ ভাল মানুষ ছিলেন। তাই তাঁকে তাঁরা সাহায্য করতে চান।তিনি তাঁর এই প্রস্তাব তৎক্ষণাৎ নাকচ করে দেন আমজাদের স্ত্রী শায়লা খান।
মতিহার বার্তা / এম আর টি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.