শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
ঘরোয়া কিছু উপায়ে শিশুর বুকে জমানো কফ দূর করতে পারেন

ঘরোয়া কিছু উপায়ে শিশুর বুকে জমানো কফ দূর করতে পারেন

ঘরোয়া কিছু উপায়ে শিশুর বুকে জমানো কফ দূর করতে পারেন
ঘরোয়া কিছু উপায়ে শিশুর বুকে জমানো কফ দূর করতে পারেন

ফারহানা জেরিন: বড়দের সঙ্গে সঙ্গে সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয় শিশুরাও। সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে যায়, নিঃশ্বাস নিতে ছটফট করতে থাকে, পরে কান্না জুড়ে দেয়। বুকে জমে থাকা কফ ও কাশির কারণে ঘুমাতে পারে না। এসময় শিশুর সঙ্গে মা-বাবাকেও নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়।

এ সমস্যার সমাধান পেতে অনেক মা- বাবা চিকিৎসকের কাছে গিয়ে হাই-এন্টিবায়োটিক ও ঠাণ্ডার ওষুধ খাওয়ান শিশুকে। তবে এসব হালকা বিষয়ে শিশুকে কড়া পাওয়ারের ওষুধ না খাওয়ানোই ভালো। এক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু উপায়ে শিশুর বুকে জমানো কফ দূর করতে পারেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ঘরোয়া কার্যকরী উপায়গুলো:

১. গরম পানির সঙ্গে এক চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ান। এটি আপনার শিশুটিকে আরাম দেবে।

২. সর্দি, জ্বরে শিশুকে ঘুমানোর সময় মাথা কিছুটা উঁচু করে রাখুন। এতে করে তার শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া অনেকটা সহজ হবে।

৩. ঠাণ্ডায় শিশুকে টমেটো এবং রসুনের স্যুপ খাওয়াতে পারেন। এটি শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে কফ গলিয়ে শিশুকে আরাম দেবে।

৪. একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে সেটি দিয়ে শিশুটিকে ভাপ দিন। এভাবে শিশুটিকে কিছুক্ষণ রাখুন। গরম পানিরভাব শিশুর নাকের ছিদ্র পরিষ্কার করে দেয়।

৫. অনেক অভিভাবক শিশুর সর্দি কাশি হলে গোসল করাতে চান না। এটা ঠিক নয়, প্রতিদিন কুসুম গরম পানিতে শিশুটিকে গোসল করাতে হবে। এতে সর্দি বুকে বসতে পারে না।

৬. রোগ জীবাণুর কারণে আপনার শিশুটি ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এতে সে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এসময়টা শিশুর পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন। এটি শরীরের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি যোগায়।

৭. সর্দি-কাশিতে দ্রুত আরাম পেতে শিশুকে নাকের ড্রপ দেওয়া যেতে পারে। আপনি চাইলে এই ড্রপ ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন। একটি পাত্রে ৪ চা চামুচ গরম পানির সঙ্গে আধা চা চামচ লবণ দিয়ে ভালো করে জ্বাল দিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এটি নাকের ড্রপ হিসেবে ব্যবহার করুন।
৮. ২টি রসুনের কোয়া ও ১ টেবিল চামচ মৌরি ভালো করে ভেজে বেটে নিন। এবার এই মিশ্রণটি একটি পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে পুটলি তৈরি করে শিশুর ঘুমানোর স্থানে রেখে দিন। এটি গরম হয়ে এর থেকে বের হওয়া বাষ্প শিশুর বন্ধ নাক খুলে দেবে এবং কফ চলে যাবে। রসুন ও মৌরিতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান থাকে, যা শিশুর ঠাণ্ডা দূর করতে সাহায্য করে।

মতিহার বার্তা/এমআরটি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply