আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত ৭ মে প্রথম মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিস মেলে লন্ডনে। তার পর থেকে ইউরোপের একাধিক দেশে ক্রমেই বাড়ছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
ইংল্যান্ড, স্পেন ও পর্তুগালের মতো একাধিক দেশে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাঙ্কি ভাইরাস। কিন্তু বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, সময় মতো সতর্ক হলেই আটকানো যেত এই সংক্রমণ।
এমনকি, ২০১৯ সালেই লন্ডনের একটি বিজ্ঞান সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন, এই মাঙ্কি ভাইরাস নিয়ে। কিন্তু সে সময়ে কর্ণপাত করেননি কেউই। ৩ বছর পরে সেই ভবিষ্যদ্বাণী ফলে যেতেই আক্ষেপ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
কিন্তু কেন এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা? ‘কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়’ ও ‘লন্ডন স্কুল অব ট্রপিক্যাল হাইজিন অ্যান্ড মেডিসিন’-এর বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১৯৮০ সালের পর পৃথিবী থেকে প্রায় নির্মূল হয়ে গিয়েছে স্মল পক্স বা গুটিবসন্ত।
তাই স্মল পক্সের টিকা নেওয়ার প্রবণতাও কমে এসেছে। ফলে বহু মানুষের দেহে গুটিবসন্ত প্রতিরোধ করার মতো ক্ষমতা নেই। আর সেই সুযোগেই গুটিবসন্তের এই তুতো ভাই আক্রমণ করছে মানবদেহকে।
১৯৫৮ সালে প্রথম বার এই মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের হদিস মেলে। কঙ্গোতে ১৯৭০ সালে প্রথম বারের জন্য মানবদেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ চিহ্নিত ও লিপিবদ্ধ করা হয়। ব্রিটেনে ২০১৮ সালে প্রথম বার এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পান বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সে বার এমন হারে ছড়ায়নি সংক্রমণ।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.