অনলাইন ডেস্ক: বরিশালের উজিরপুরের সড়কে ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনায় বাসচালক আরিফ খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এ ছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত বাস মালিকের পরিচয় পাওয়াও গেছে।
বাসচালক আরিফ খান বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়ার মানিক খানের ছেলে এবং যমুনা লাইন পরিবহন নামের বাসটির মালিক ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মো. ফারুক আহমেদ।
সোমবার (৩০ মে) দুপুরে সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আর্শাদ আলী।
ওসি জানান, রোববার (২৯ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উজিরপুরের বামরাইল-সানুহারের মধ্য এলাকায় যাত্রীবাহী যমুনা লাইন নামে পরিবহনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত হন; আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং হাইওয়ে পুলিশ একটি মামলা করেছে।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে এবং তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরেকজনের পরিচয় না মেলায় তার মরদেহ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
যমুনা লাইন পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া যাচ্ছিল। রোববার ভোরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি মহাসড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে ৯ জন নিহত হন এবং বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন মারা যান।
নিহতদের মধ্যে পরিচয় পাওয়া ৯ জন হলেন- ঝালকাঠি সদরের নেয়ড়ী এলাকার মনির হোসেন হাওলাদারের ছেলে আরাফাত হোসেন হাওলাদার (৯), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উত্তর ভেচকির কুদ্দুস আকনের ছেলে নজরুল ইসলাম আকন (৩৫), ভেচকির রাকিব আকনের স্ত্রী তাজনেয়ারা বেগম (২০), বরগুনার বেতাগীর কাজিরবাদের মোবারক আলী বেপারীর ছেলে হালিম মিয়া (৩১), ফরিদপুরের নগরকান্দার সুতারকান্দার প্রয়াত আওলাদ আলীর ছেলে সেন্টু মোল্লা (৫০), বরিশালের বাকেরগঞ্জের সুন্দরকাঠি গ্রামের প্রয়াতত আবুল কাশেম হাওলাদারের ছেলে রমজান হাওলাদার (৩৮), বরগুনার কেওড়াবুনিয়ার আ. কুদ্দুস হাওলাদারের ছেলে ইমরান হাওলাদার (২৬), পটুয়াখালীর গলাচিপার মীরেরহাওলার তাজেম আলী বেপারীর ছেলে রেজা চোকদার (২৩) ও বরিশালের উজিরপুরের মুণ্ডপাশা গ্রামের মনোরঞ্জন শীলের ছেলে মাধব শীল (৪৫)।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.