অনলাইন ডেস্ক: বিয়ে না করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, একথা কি জানতেন? সম্প্রতি ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজির বৈজ্ঞানিক কংগ্রেসের গবেষণায় এমনটাই উঠে এসেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা অবিবাহিত বা যাদের জীবনসঙ্গী নেই তাদের ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি বা এ কারণে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি।
বিয়ে কেবল আত্মার বন্ধনই নয়, এটি প্রভাবিত করে আমাদের স্বাস্থ্যকেও। উল্লেখিত গবেষণা অনুসারে, অবিবাহিত ব্যক্তিরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সীমিত সামাজিক সংযোগের কারণে হৃদরোগে ভুগতে পারেন। পরিস্থিতি সামলানোর মতো আত্মবিশ্বাস বিবাহিতদের তুলনায় অবিবাহিতদের কম থাকে, এমনটাই উঠে এসেছে গবেষণায়। এই পার্থক্যের কারণে, অবিবাহিতদের হৃদরোগের পরে বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও তুলনামূলকভাবে কম।
গবেষণার লেখক এবং জার্মানির ইউনিভার্সিটি হসপিটাল ওয়ারজবার্গের কমপ্রিহেনসিভ হার্ট ফেইলিউর সেন্টারের ডক্টর ফ্যাবিয়ান কেরওয়াগেন বলেন, সামাজিক সমর্থন মানুষকে দীর্ঘমেয়াদী পরিস্থিতি পরিচালনা করতে সহায়তা করে। জীবনসঙ্গী পাশে থাকলে তিনি আপনার খেয়াল রাখতে পারেন। অসুখ হলে ওষুধ খাওয়ানো এবং অন্যান্য সেবাসমূহ তার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। ফলে রোগীর জন্য স্বাস্থ্যকর আচরণ মেনে চলা সহজ হয়। দীর্ঘায়ু হওয়ার জন্য এসব অভ্যাস জরুরি, এমনটাই দাবি এই গবেষকের।
ডাঃ ফ্যাবিয়ানের মতে, এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত অবিবাহিত রোগীদের বিবাহিত রোগীদের তুলনায় সামাজিক সম্পর্কের অভাব দেখা গেছে। এর পাশাপাশি হার্ট ফেইলিওর থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আত্মবিশ্বাসও কম দেখা গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, রোগ নির্ণয়ের বিষয়ে সচেতনতা অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে কম। এক্সটেন্ডেড ইন্টারডিসিপ্লিনারি নেটওয়ার্ক হার্ট ফেইলিওর (ই-আইএনএইচ) এর সঙ্গে এই বিশ্লেষণের সমন্বয় করে দীর্ঘস্থায়ী হার্ট ফেইলিওরে বৈবাহিক অবস্থার প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়েছিল।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.