শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
বোমায় গুঁড়িয়েছে স্কুল, লাল পোশাকে ধ্বংসস্তূপে একা কিশোরী!

বোমায় গুঁড়িয়েছে স্কুল, লাল পোশাকে ধ্বংসস্তূপে একা কিশোরী!

বোমায় গুঁড়িয়েছে স্কুল, লাল পোশাকে ধ্বংসস্তূপে একা কিশোরী!
বোমায় গুঁড়িয়েছে স্কুল, লাল পোশাকে ধ্বংসস্তূপে একা কিশোরী!

রিয়াজ উদ্দিন: এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ ইউক্রেন। ঘর হারিয়েছেন লক্ষ মানুষ, কবরে ঘুমিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আর একটা গোটা প্রজন্ম হারিয়েছে তাদের শৈশব, কৈশোর, যৌবন। সমস্ত আনন্দ, উচ্ছলতা নিয়ে গুঁড়িয়ে গেছে স্কুল-কলেজের বিল্ডিং। চাপা পড়ে গেছে শত শত স্বপ্ন।

সেই ধ্বংসের মাঝে বড় সমারোহ করে ফুটে উঠেছে এক স্বপ্নের ছবি। পরীর মতো ফ্লেয়ারি পোশাক পরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক কিশোরী। লাল রঙের পোশাকে, ঠিক যেন এক রক্তবীজ! যার ধ্বংস নেই, মৃত্যু নেই, আছে কেবল জীবনের সম্ভাবনা।

ইউক্রেনের একটি স্কুলের সামনে এই কিশোরীর ছবি ইন্টারনেটকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। স্কুল বলা ভুল, বোমার আঘাতে সে স্কুল এখন কেবলই ইট-কাঠ-পাথরের স্তূপ। তার সামনে দাঁড়িয়ে অ্যানা এপিশেভা নামের সেই মেয়ে।

মেয়েটির আত্মীয়া ছবিটি পোস্ট করে লিখেছেন, এই বছর হাইস্কুল পাশ করার কথা ছিল অ্যানার। সে জন্য সে নতুন পোশাকও কিনেছিল, স্কুলের অনুষ্ঠানে পড়বে বলে। তার মধ্যেই রাশিয়ানদের তুমুল আক্রমণ, গোটা দেশের সঙ্গে গুঁড়িয়ে গেল অ্যানার স্কুলটিও। আজ সেই স্কুলে অ্যানা ফিরে এসেছে, ভালবেসে কিনে রাখা সেই পোশাকটি পরেই!

হাজার হাজার মানুষ লাইক-কমেন্টে ভরিয়ে দিয়েছেন পোস্টটি। আসলে তাঁরা ভরে উঠেছেন অ্যানার এই ছবি দেখে। কেউ লিখেছেন, ‘যুদ্ধ হোক বা না হোক, ইউক্রেনের মেয়েরা অনন্যা।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘ইউক্রেন অনমনীয়। একে ভাঙা যাবে না কিছুতেই।’ কেউ বা লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্য! ইউক্রেনীয়দের এত সাহস!’

যুদ্ধের দাপট এখন নেমে এসেছে। গুলিগোলার আওয়াজে ভরে নেই আকাশ-বাতাস। ধীরে ধীরে শান্ত হয়েছে সে দেশের মাটি। কালের নিয়মেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরবে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি। কিন্তু যা গেছে, তা তো আর ফেরার নয়! তথ্য বলছে, ১৬০ কোটি মানুষ এই যুদ্ধের শিকার।

অ্যানাও তাঁদেরই একজন। অ্যানার মতোই এমন লক্ষ লক্ষ মানুষ হয়তো ফুরিয়ে না যাওয়ার লড়াই এখনও লড়ে চলেছেন, যুদ্ধ থামার পরেও!

মতিহার বার্তা/এমআরটি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply