শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
প্রতিবন্ধী হয়েও সফল: রপ্তানি হচ্ছে তাদের তৈরী কার্পেট

প্রতিবন্ধী হয়েও সফল: রপ্তানি হচ্ছে তাদের তৈরী কার্পেট

মতিহার বার্তা ডেস্ক : মানুষের ইচ্ছা শক্তি থাকলে কোনো প্রতিবন্ধকতাই তার সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। এই কথাটি আবারো প্রমাণ হলো ময়নসিংহের প্রতিবন্ধী নারীদের মাধ্যমে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তারা আজ স্বাবলম্বী, শুধু তাই নয় অবদান রেখে চলেছেন দেশের অর্থনীতিতে। হস্তশিল্পের কাজ শিখে ভাগ্য বদলে গেছে ময়মনসিংহের শতাধিক প্রতিবন্ধী নারীর। তাদের তৈরি দৃষ্টিনন্দন পণ্য সামগ্রী স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে।

ময়মনসিংহ শহরে মোট ১২ জন প্রতিবন্ধী নারীকে নিয়ে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করেছিলো কার্পেট হাউস। বর্তমানে এই কার্পেট হাউসে কাজ করছেন শতাধিক প্রতিবন্ধী। সরকারি সহায়তায় ওই নারীদের এ সুযোগ করে দিয়েছে ময়মনসিংহের প্রতিবন্ধী কমিউনিটি সেন্টার। কার্পেট তৈরির জন্য সুতা সাজানো, বুননযন্ত্রে সুতা লাগানো থেকে শুরু করে কার্পেট, শতরঞ্জি তৈরি সবই করছেন প্রতিবন্ধী নারীরা। বাজারে এই কার্পেটের দাম ৩ থেকে ২০ হাজার টাকা। বিক্রির টাকা জমা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের তহবিলে, যেখান থেকে ব্যয় হচ্ছে প্রতিবন্ধী নারীদের উন্নয়নে।

প্রতিবন্ধীদের বানানো কার্পেট আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে জাপান, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশে। প্রথমে তারা স্থানীয় বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করতেন। ধীরে ধীরে তাদের কাজের পরিধি বেড়েছে। উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান ভালো হওয়ায় তা বিদেশেও রফতানি হচ্ছে।

সরকারের এনজিও ব্যুরো ও সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী কমিউনিটি সেন্টার নারীদের কল্যাণের জন্য তৈরি করা হয়েছে নারী ক্লাব। প্রতিবন্ধী নারীদের স্বাবলম্বী করতে ২০০০ সালে এই মহিলা ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই সময়ই এখানে কার্পেট ও হস্তশিল্পের কারখানা গড়ে তোলা হয়। অসহায় প্রতিবন্ধী নারীরা কাজ শিখে এখান থেকেই আয়-রোজগার করে থাকেন প্রতিবন্ধীরা। সপ্তাহে এক দিন এই নারীদের পরিবার নিয়ে সভা বসে। সেখানে নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা চলে। যে নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারেন না, তাঁরা ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ পান। এই নারীরা সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত কাজ ও পড়াশোনা করেন। সকল বাধাবিপত্তি পেরিয়ে সুন্দর দিনের গল্প বুনে চলেছে এই প্রতিবন্ধী নারীরা, যা অনেকের জন্য উৎসাহের মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করতে পারে।

মতিহার বার্তা ডট কম ০৯ এপ্রিল ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply