স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দেশটির জাতীয় কাউন্সিল সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত মে মাসে বর্ষাকাল শুরুর পর থেকে এতো মানুষের মৃত্যু হলো সেখানে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য উত্তর কোর্দোফান, গেজিরা, দক্ষিণ কোর্দোফান, দক্ষিণ দারফুর বলেও জানান তিনি।
সাধারণত মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয় সুদানে। এতে বহু ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) সপ্তাহের শুরুতে এক প্রতিবেদনে জানায় যে সরকারের মানবিক সহায়তা কমিশন, মানবিক সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাবে, বন্যায় এক লাখ ৩৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবার।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কারণ এখনো অনেক এলাকা পানির নিচে ডুবে আছে। জাতিসংঘ বলছে, গত ১৪ আগস্ট ভারি বৃষ্টির কারণে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা গতবছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। সংস্থাটির তথ্য বলছে, ২০২১ সালে সুদানে বর্ষাকালে দেশজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তিন লাখ ১৪ হাজার পাঁচশ মানুষ। গত বছর বন্যায় দেশটিতে ৮০ জনের মৃত্যু হয়।
২০২০ সালে সুদানকে প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত বলে ঘোষণা করা হয়। সেবছর বন্যায় একশ জনের প্রাণহানি ঘটে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় এক লাখ মানুষ। সারাদেশে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.