অনলাইন ডেস্ক: ইউরিয়া সার কেজিতে ছয় টাকা এবং ডিজেল লিটারপ্রতি বেড়েছে ৩৪ টাকা। সার ও ডিজেলের বাড়তি দামে আমন আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গোদাগাড়ীর চরের কৃষকরা।
তারা বলছেন, আগে নদীর এপারে যখন প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৮০ টাকা, তখন পদ্মার ওপারে ১০০। আর এখন নদীর এপারেই দাম ১১৪ টাকা, ওপারে ১৩০ টাকা। সব সময় এভাবে বাড়তি দামেই তেল কিনে চাষাবাদ করতে হয় চরাঞ্চলের কৃষককে। বাড়তি খরচে চাষাবাদ করলেও তারা ফসলের দাম পান নদীর এপারের তুলনায় কম।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের কৃষক মো. রকি জানান, প্রতি মৌসুমে শ্যালো ইঞ্জিনের মালিককেই দিতে হয় সাড়ে তিন থেকে চার মণ ধান। আবার সেচ নেওয়ার জন্য কৃষককে কিনে দিতে হয় তেল। ইঞ্জিন ও জমিভেদে বোরো ধানের ক্ষেত্রেই কৃষকের লাগে ৪০-৬০ লিটার তেল। ধান ও তেল দেওয়ার হিসাবের বাইরে সেচ নিলে প্রতি ঘণ্টায় গুনতে হয় ১০০ টাকা। ৬০০ মিলিলিটার থেকে এক লিটার তেলে এক ঘণ্টা চলে শ্যালো ইঞ্জিন। এখন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের খরচে পাওয়া যাবে না সেচের পানি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শামছুল ওয়াদুদ বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষিতে তেমন খারাপ প্রভাব পড়বে না। কারণ, এখন কৃষিযন্ত্রের বেশির ভাগই তো চলে বিদ্যুতে। চরে বিদ্যুৎ না থাকার কথা মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘চরে কিছুটা খারাপ প্রভাব পড়বে। এটা কতটা, সেটা আমাদের স্টাডি করে দেখা হয়নি। আগে দেখি, তারপর বলব।’
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.