আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিহারের নওয়াদা জেলার একটি গ্রামে পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ বার কান ধরে ওঠবোস করানোর শাস্তি দেওয়া হল অভিযুক্তকে। সকলের সামনে কান ধরে পাঁচ বার ওঠবোস করলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। এমন ঘটনা ঘটেছে বিহারের নওয়াদা জেলার একটি গ্রামে।
কান ধরে ওঠবোস করার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ধর্ষণের শাস্তি কী ভাবে মাত্র পাঁচ বার কান ধরো ওঠবোস হতে পারে, এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, চকোলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাচ্চা মেয়েটিকে নিজের পোলট্রি ফার্মে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। তার পর সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে পাকড়াও করে গ্রাম পঞ্চায়েতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিজেরাই বিচারসভা বসিয়ে অভিযুক্তের শাস্তির বিধান ঠিক করেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। ধর্ষণের অভিযোগের শাস্তি থেকে ওই ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেন তাঁরা। মেয়েটিকে নির্জন এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সাজা হিসাবে কান ধরে ওঠবোস করতে বলেন গ্রামের ওই ‘মোড়ল’রা।
এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গ্রামীণ ভারতের এমন ন্যায়বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের সাজা থেকে কী ভাবে ওই ব্যক্তিকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে, এ নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন অনেক নেটাগরিকরা। অবিলম্বে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
পুলিশ সুপার গৌরব মাংলা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.