শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
শুরুতে ব্রাজিলের জার্সি ছিল সাদা, হঠাৎ কী করে রং বদলে হলুদ হল? নেপথ্যে কী কারণ?

শুরুতে ব্রাজিলের জার্সি ছিল সাদা, হঠাৎ কী করে রং বদলে হলুদ হল? নেপথ্যে কী কারণ?

শুরুতে ব্রাজিলের জার্সি ছিল সাদা, হঠাৎ কী করে রং বদলে হলুদ হল? নেপথ্যে কী কারণ?
শুরুতে ব্রাজিলের জার্সি ছিল সাদা, হঠাৎ কী করে রং বদলে হলুদ হল? নেপথ্যে কী কারণ?

মিজানুর রহমান টনি: ১৯৫০ বিশ্বকাপের পর জার্সির রং পরিবর্তন করা হয়। সাদা থেকে হয় হলুদ। যদিও শর্টসের রং রয়েছে আগের মতোই নীল। তার পর থেকে ব্রাজিল এই জার্সি পরেই খেলছে। কেন বদল হল?

বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই হলুদ ঝড়ের অপেক্ষা। পেলে থেকে রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহো এবং এখনকার নেমার বা রিচার্লিসন— বছরের পর বছর ফুটবলপ্রেমীদের মুগ্ধ করেছেন। সব থেকে বেশি পাঁচ বার বিশ্বকাপ জেতার কৃতিত্বও ব্রাজিলের। তাদের হলুদ জার্সি নিয়ে বিশ্বজোড়া আবেগ। কিন্তু একটা সময় পর্যন্ত ব্রাজিল ফুটবল খেলত সাদা জার্সি পরে।

১৯৫৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। তার ঠিক কয়েক বছর আগে জার্সির রং সাদা থেকে বদলে হলুদ করা হয়েছিল। এই পরিবর্তনের নেপথ্যে তেমন কোনও গুরুতর কারণ ছিল না। আগের সাদা জার্সি অনুজ্জ্বল হওয়ায় রং পরিবর্তনের কথা ভাবা হয়েছিল।

আগে সাদা জার্সি এবং নীল শর্টস পরে খেলত ব্রাজিল। সেই সময় ১৯৫০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল ব্রাজিল। ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে ১-২ গোলে হেরে গিয়েছিল তারা। সেই হারের ধাক্কা সামলাতে দেশের ফুটবলে পরিবর্তন আনার কথা ভেবেছিল ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। তারই অংশ হিসাবে জার্সির রং পরিবর্তনের কথাও ভাবা হয়েছিল।

জার্সির নতুন রং এবং নকশা তৈরির জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ মিনাস গেরাইসের জার্নাল ‘ফুলিয়া’র তথ্য অনুযায়ী, দেশের জার্সিতে প্রাণশক্তি যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন ফুটবল কর্তারা। প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ব্রাজিলের সংবাদপত্র ‘কোরিয়ো দ্য মানহা’। বলে দেওয়া হয়েছিল, ব্রাজিলের জাতীয় পতাকায় ব্যবহৃত হলুদ, সবুজ, নীল এবং সাদা ছাড়া অন্য কোনও রং ব্যবহার করা যাবে না জাতীয় দলের জার্সিতে।

প্রতিযোগিতার শেষে বেছে নেওয়া হয়েছিল ক্যানারি হলুদ রঙের একটি জার্সি। সেই জার্সি পরেই ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপ জেতে ব্রাজিল। তার পর থেকে এই রঙের জার্সি গায়েই খেলতে দেখা যাচ্ছে ব্রাজিলের ফুটবল দলকে। ব্রাজিলীয়রা মনে করেন, ক্যানারি হলুদ রঙের জার্সি বদলে দিয়েছে ফুটবল দলের ভাগ্য। এই জার্সি গায়েই এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি পাঁচ বার বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে শুরু হয় এই জয় যাত্রা।

প্রতিযোগিতায় জয়ী জার্সিটি ছিল শুধুই ক্যানারি হলুদ রঙের। পরে তাতে সামান্য সবুজ রং যোগ করা হয়েছে নকশা হিসাবে। যদি সবুজ রঙের কোনও নির্দিষ্ট জায়গা নেই। জার্সি প্রস্তুতকারী সংস্থা জার্সির সৌন্দর্য হিসাবে এক বা দু’জায়গায় সবুজ রং ব্যবহার করে থাকে। জার্সির এই রঙের জন্য প্রিয় দলকে ব্রাজিল সমর্থকরা ডাকেন ক্যানারি নামেও।

আগের মতো এখনও নীল শর্টস পরে খেলেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা। শর্টসের রং নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়নি। তাই পরিবর্তন হয়নি রঙের।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply