শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
কাজ হল না বিষেও! আসামির মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভয়ঙ্কর পন্থা নিলেন জেল কর্তৃপক্ষ

কাজ হল না বিষেও! আসামির মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভয়ঙ্কর পন্থা নিলেন জেল কর্তৃপক্ষ

কাজ হল না বিষেও! আসামির মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভয়ঙ্কর পন্থা নিলেন জেল কর্তৃপক্ষ
কাজ হল না বিষেও! আসামির মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভয়ঙ্কর পন্থা নিলেন জেল কর্তৃপক্ষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকার বাসিন্দা অ্যালান ইউজিন মিলার। বর্তমানে আমেরিকার অ্যালবামা রাজ্যের একটি কারাগারে বন্দি অ্যালান। মৃত্যুদণ্ড পেয়েও বেঁচে গেলেন তিনি। এ বার এক নতুন উপায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে তাঁকে।

সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেয়েছেন আমেরিকার বাসিন্দা অ্যালান ইউজিন মিলার। তিনটি নৃশংস খুনের অপরাধে তিনি জেলবন্দি। তবে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিতে গিয়েই ধাক্কা খেলেন জেল কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুদণ্ডের উপায় কাজ করল না অপরাধীর উপর। অ্যালানকে আবার মৃত্যুদণ্ড দিতে যে উপায় বার করা হয়েছে সেই পদ্ধতি এর আগে কখনও কোনও মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপকের উপর প্রয়োগ করা হয়নি।

বর্তমানে আমেরিকার অ্যালবামা রাজ্যের একটি কারাগারে বন্দি অ্যালান। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা তিনটি খুনের অভিযোগ সম্প্রতি প্রমাণিত হয়েছে। তার পরই মৃত্যুর সাজা।

কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, অ্যালানকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু সেই বিষ অ্যালানের শরীরে প্রবেশ করিয়েও তাঁর মৃত্যু হয় নি।

এমনিতেই অ্যালানের স্থূল শরীরে শিরা খুঁজে বার করতে বেশ নাকাল হতে হয়েছিল জেল আধিকারিকদের।

অনেক কষ্টে শিরা খুঁজে ইঞ্জেকশনে মাধ্যমে শরীরে বিষ প্রবেশ করিয়ে আধিকারিকরা অ্যালানের মৃত্যুর অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু সেই বিষ তার শরীরে প্রবেশ করতেই যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করেন অ্যালান।

ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে বিষ প্রয়োগ করার সময় শরীরে আরও দু’টি সুচ প্রবেশ করানো হয়। এর মধ্যে একটিতে শরীর অবশ করার ওষুধ থাকে এবং অন্যটিতে সংজ্ঞাহীন করার ওষুধ থাকে।

যন্ত্রণাহীন মৃত্যু নিশ্চিত করতে এই দু’টি ইঞ্জেকশন অপরাধীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়।

অ্যালানের শরীরেও প্রয়োগ করা হয় এই দুই ওষুধ। কিন্তু তার শরীরে ওষুধ দু’টি কাজ না করায় বিষের প্রভাবে তাঁর শরীরে প্রচণ্ড জ্বালা শুরু হয়।

যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন অ্যালান। সঙ্গে সঙ্গে অ্যালানের শরীর থেকে ওই ইঞ্জিকেশনের সুচগুলি খুলে নেন ওখানে উপস্থিত আধিকারিকরা।

অ্যালানের আইনজীবীর অভিযোগ, ইঞ্জেকশন প্রয়োগের কারণে অ্যালান প্রচণ্ড মানসিক এবং শারীরিক যন্ত্রণা অনুভব করেছেন। আর তাই কোনও ভাবেই আর ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না।

অনেক দেশেই বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এখনও অ্যালবামার জেলগুলিতে এই উপায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যালানকে আর বিষ প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে না।

এর পরই বিষাক্ত ইঞ্জেকশনের পরিবর্তে নতুন উপায়ে অ্যালানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেল আধিকারিকরা।

কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যালানকে মৃত্যুর সাজা দিতে বিষাক্ত নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়া গ্যাস প্রয়োগ করা হবে।

জেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই গ্যাস প্রয়োগ করে এর আগে কাউকে কখনও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। এখনও এই গ্যাস ব্যবহারের কোনও বৈধ অনুমতি নেয় বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।

জেলের আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, অচৈতন্য অবস্থায় অ্যালানের মুখের উপর একটি মাস্ক লাগিয়ে তাকে ওই গ্যাস নিশ্বাস নিতে বাধ্য করা হবে। এই গ্যাসের প্রভাবে অ্যালানের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে কমতে শূন্যতে ঠেকলে মৃত্যু হবে অ্যালানের।

অ্যালবামার বাসিন্দাদের দাবি, বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার থেকে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া অনেক মানবিক।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply