শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
তালায় শ্রেণী কক্ষে আবদ্ধ রাখায় ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ

তালায় শ্রেণী কক্ষে আবদ্ধ রাখায় ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ

তালায় শ্রেণী কক্ষে আবদ্ধ রাখায় ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ
তালায় শ্রেণী কক্ষে আবদ্ধ রাখায় ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ

অনলাইন ডেস্ক: সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘসময় আবদ্ধ রাখায় ১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সোমবার উপজেলার সীমান্তবর্তী খেশরা ইউনিয়নের এইচ.এম.এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

তথ্যনুসন্ধানে জানাযায়, বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলাকালে ৬ষ্ট থেকে ১০ম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীদের আবদ্ধ করে রাখেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তবে কি কারণে প্রধান শিক্ষক তাদেরকে আবদ্ধ করে রেখেছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন,দশম শ্রেণীর আফসানা মিমি, নবম শ্রেণীর মহীনি আক্তার মাহী, রুমাইয়া, ফতেমা,রিমি, সপ্তম শ্রেণীর নদীসহ আরও কয়েকজন।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের অবদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে অভিভাবকরা বিকাল ৫ টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। উপজেলা কমপ্লেক্স হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডাঃ সবুজ বিশ্বাস জানান, ৮/১০ জন ছাত্রী এক সাথে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের অসুস্থ্য হওয়ার কারণ জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ তারা পানি ও খাদ্য সামগ্রী গ্রহণ করতে না পারায় মানসিক ও শারিরীক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়েছে।

৯ম শ্রেণির অসুস্থ্য এক ছাত্রী জানান, সোমবার (২০ মার্চ) বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সকাল থেকে অনুষ্ঠান চলার একপর্যায়ে দুপুরে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির প্রায় ৩শ’ শিক্ষার্থীকে বদ্ধ রুমের মধ্যে জানালা-দরজা বন্ধ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারেক হোসেনের নির্দেশে আবদ্ধ করে রাখা হয়। বদ্ধ কক্ষে দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার কারনে এবং অক্সিজেন সংকটে বিকাল ৪ টার দিকে আমাদের কিছু বান্ধবিরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।

অসুস্থ্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষকরা ছাত্র ও ছাত্রীদের পৃথক রুমে বন্ধী করে রাখেন সকাল ৯ টা হতে বিকাল সাড়ে সড়ে ৪ টা পর্যন্ত। এসময় বন্দী ঘরের দরজা আটকানো রাখা সহ বাহিরের গেট তালাবদ্ধ ছিল। দীর্ঘক্ষণ একটি রুমে আটকে রাখায় এবং তাদের কোন প্রকারে পানি ও খাদ্য সামগ্রী খেতে না দেওয়ার করাণে তারা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।

প্রধান শিক্ষক মোবারেক হোসেন শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্কুলের সকল শিক্ষক বিদায় অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তাদের দিকে নজর রাখা হয়নি। অসুস্থ্য ছাত্রীরা সকালে কিছু না খেয়ে আসার কারণে এমনটি হতে পারে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply