শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
যে দুই নামাজের সময় ফেরেশতাদের পালা বদল হয়

যে দুই নামাজের সময় ফেরেশতাদের পালা বদল হয়

যে দুই নামাজের সময় ফেরেশতাদের পালা বদল হয়
যে দুই নামাজের সময় ফেরেশতাদের পালা বদল হয়

মিজানুর রহমান টনি: মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো আসরের নামাজ। এই নামাজটি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে পবিত্র কোরআনে এই নামাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করার ব্যাপারে বিশেষ ইঙ্গিত রয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তোমরা নামাজসমূহ ও মধ্যবর্তী নামাজের হিফাজত করো এবং আল্লাহর জন্য দাঁড়াও বিনীত হয়ে। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৩৮)

বিভিন্ন হাদিস ও অধিকাংশ আলেমের মতে মধ্যবর্তী নামাজের অর্থ হলো, আসরের নামাজ।

কেননা, এর একদিকে দিনের দুটি নামাজ—ফজর ও জোহর এবং অপরদিকে রাতের দুটি নামাজ—মাগরিব ও এশা রয়েছে। এ নামাজের জন্য তাকিদ এ জন্য দেওয়া হয়েছে যে অনেক লোকেরই এ সময় কাজকর্মের ব্যস্ততা থাকে। চাকরিজীবীরা এ সময় বাসায় যাওয়ার তাড়ায় থাকে কিংবা দিনের কাজগুলো দ্রুত গোছানোর চেষ্টা করে, ব্যবসায়ীরা এ সময় কাস্টমার নিয়ে ব্যস্ত থাকে, ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, কেউ আবার ঘুমিয়ে থাকে, ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকে। মোটকথা সব শ্রেণির মানুষই এই সময় ব্যস্ততার মধ্যে থাকে, ফলে অলসতা বা ব্যস্ততার অজুহাতে এই নামাজটি ঠিকমতো আদায় করে না।
তাই তো এই নামাজের বিশেষ গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি এই নামাজ হারালো, সে যেন সব কিছু হারালো। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যদি কোনো ব্যক্তির আসরের নামাজ ছুটে যায়, তাহলে যেন তার পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদ সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গেল। (বুখারি, হাদিস : ৫৫২)

অন্য হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) এই নামাজের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দেয় তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৫৩)

সম্ভবত এটা এই জন্য যে এই সময় বান্দার দিনের আমলগুলো আল্লাহর কাছে উত্থাপন করা হয়।

হাদিসের ভাষ্যমতে বান্দার দৈনিক আমলগুলো দুই সময় আল্লাহর কাছে উত্থাপন করা হয়। আবার ওই দুই সময়েই ফেরেশতাদের পালা বদল হয়। ফেরেশতারা গিয়ে মহান আল্লাহর কাছে বান্দার আমলের হিসাব দেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো আসরের সময়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ফেরেশতারা পালাবদল করে তোমাদের মাঝে আগমন করেন; একদল দিনে, একদল রাতে।
‘আসর ও ফজরের নামাজে উভয় দল একত্র হয়। অতঃপর তোমাদের মাঝে রাত যাপনকারী দলটি উঠে যায়। তখন তাদের প্রতিপালক তাদের জিজ্ঞেস করেন, আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় রেখে এলে? অবশ্য তিনি নিজেই তাদের ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। উত্তরে তাঁরা বলেন, আমরা তাদের নামাজে রেখে এসেছি, আর আমরা যখন তাদের কাছে গিয়েছিলাম তখনো তারা নামাজ আদায়রত অবস্থায় ছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ৫৫৫)

বোঝা গেল, আসরের নামাজটি মুসলিমদের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি নামাজ। এই নামাজের সময়ই মুসলমানরা প্রথম বাইতুল্লাহর দিকে ফিরে নামাজ শুরু করেন। অর্থাৎ কিবলা পরিবর্তনের ঘটনাটিও এই নামাজের সময়ই হয়েছিল। (বুখারি, হাদিস : ৪০)

এমনকি পূর্ববর্তী উম্মতদের ওপরও এই নামাজ ফরজ ছিল, যা আমাদের নবীজি (সা.)-এর হাদিসেই পাওয়া যায়। আবু বাসরা গিফারি (রা.) বলেন, (একবার) রাসুলুল্লাহ (সা.) ‘মুখাম্মাস’ নামক স্থানে আমাদের নিয়ে আসরের নামাজ আদায় করলেন। (এবং) বলেন, এই নামাজ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণের কাছে পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এর মর্যাদা রক্ষা করেনি। যে ব্যক্তি ওই নামাজ যথাযথ আদায় করবে, সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে। তার (আসর) পর শাহিদ উদয়ের পূর্ব পর্যন্ত আর কোনো সালাত নেই। শাহিদ (অর্থ) তারকারাজি। (নাসায়ি, হাদিস : ৫২১)

অতএব আমাদের উচিত, শত ব্যস্ততার মাঝেও এই নামাজের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া। অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজগুলো সময়মতো গুরুত্বসহকারে যথাযথভাবে আদায় করা।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply