চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় মহানন্দা নদীতে ডুবে মো. মারুফ (১৯) নামের এক তরুণ ও মো. হোসাইন (১১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই ও প্রতিবেশী।

ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বারঘরিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চামাগ্রাম ভেলাপাড়া ঘাটে ওই দুজন নিজেদের মাসহ স্বজনদের সাথে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

খবর পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ডাকে।

রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর আড়াইটার দিক থেকে নদীতে তল্লাশি চালিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মারুফের মরদেহ ও বিকেল ৪টার দিকে হোসাইনের মরদেহ উদ্ধার করে। মারুফ বারঘরিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চামাগ্রাম মোড়লপাড়া গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। হোসাইন একই গ্রামের মো. শাহিনের ছেলে।

মারুফ এসএসসি পাস করেছিলেন। অপরদিকে হোসাইন হাফেজিয়া মাদরাসায় অধ্যয়নরত ছিল। পুলিশ জানায়, প্রথমে ডুবে যায় শিশু হোসাইন। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করতে গিয়ে স্রোতে ডুবে যান মারুফ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার হারুনুর রশিদ বলেন, ফায়ার সার্ভিস দুপুর ১টার দিক থেকে কাজ শুরু করে। পরে রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরিদল অভিযান শুরু করে মরদেহ দুটি খুঁজে পায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পুলিশ নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

বারঘরিয়য়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আহাদ আলী বলেন, পাশাপাশি বাড়িতে বসবাসকারী আপন মামাতো-ফুফাতো দুই ভাই নিজেদের মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের চোখের সামনে ডুবে মারা যায়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।