শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ট্যাক্সিচালক, দুই ছেলেই ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দলে, গর্বিত বাবা ‘ভূপর্যটক’

পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ট্যাক্সিচালক, দুই ছেলেই ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দলে, গর্বিত বাবা ‘ভূপর্যটক’

পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ট্যাক্সিচালক, দুই ছেলেই ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দলে, গর্বিত বাবা ‘ভূপর্যটক’
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ট্যাক্সিচালক, দুই ছেলেই ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দলে, গর্বিত বাবা ‘ভূপর্যটক’

মিজানুর রহমান (টনি): পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মিরপুরে জন্ম নইম আহমেদের। তাঁর এক ছেলে ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেলছেন। ছোট ছেলে সুযোগ পেয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে।

ইংল্যান্ডের হয়ে গত বছর ডিসেম্বরে অভিষেক হয়েছিল রেহান আহমেদের। সে দেশের কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসাবে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। বাবা নইম আহমেদ দেখেছিলেন তাঁর ছেলে মাত্র ১৮ বছর ১২৮ দিন বয়সে নাসির হুসেনের হাত থেকে আন্তর্জাতিক টুপি নিচ্ছেন করাচিতে। এক বছরের মধ্যে নইমের দ্বিতীয় সন্তান ফারহানও সুযোগ পেলেন ইংল্যান্ডের দলে। ১৫ বছরের ফারহান ডাক পেলেন ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মিরপুরের নইম বলেন, “বাবা হিসাবে আমি গর্বিত। নিজেকে মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে খুশি মানুষ।”

দুই ছেলের সাফল্যের সাক্ষী থাকতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান নইম। ফারহান যখন ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ভারতে খেলতে এসেছিলেন, সেই সময় এ দেশে ছিলেন তিনি। এখন আবার রেহানের জন্য ক্যারিবিয়ান সফরে নইম। তিনি বলেন, “ভূপর্যটক হয়ে যাচ্ছি। আগের মাসে ভারতে ছিলাম। ফারহানের খেলা দেখছিলাম অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। এখন আমি ক্যারিবিয়ায়। ইংল্যান্ডের হয়ে রেহানের খেলা দেখছি। আমার মধ্যে যে ক্রিকেটার ছিল, সে তৃপ্ত। বাবা হিসাবে আমি সুখী। আর কোচ হিসাবে আমি চাই রেহান এবং ফারহান দ্বিগুণ পরিশ্রম করুক।”

নইম নিজে ক্রিকেটার ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি পাকিস্তান থেকে চলে যান ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামে। তখন সবে বিয়ে করেছেন। সেই ট্যাক্সি চালাতেন নইম। তিন ছেলে রহিম, রেহান এবং ফারহানের জীবন সহজ করতে পরিশ্রম করে গিয়েছেন বাবা। নইম বলেন, “আমি অলরাউন্ডার হতে চেয়েছিলাম। পেস বল করতাম। ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগে ক্লাব পর্যায় খেলেছি। তবে কখনও ছেলেদের ক্রিকেটার হওয়ার জন্য চাপ দিইনি। রহিম এবং রেহান সমবয়সি। আমাদের বাড়িটা এখন খেলার মাঠ হয়ে গিয়েছে।”

নইম মনে করেন রেহান এবং ফারহান ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগ পেলেও রহিম বেশি ভাল ক্রিকেটার। নইম বলেন, “তিন ছেলের মধ্যে কে বেশি ভাল ক্রিকেটার তা আমার পক্ষে বলা কঠিন। আমি তুলনা করতে চাই না। তবে রহিম বাঁহাতি পেসার। ব্যাটও করতে পারে। কিন্তু ১৬ বছর বয়সে পেশিতে চোট লাগে। সেটার ফলে ওর ক্রিকেট কেরিয়ার থমকে যায়। আমার মনে হয় ও সুস্থ থাকলে গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ ইংল্যান্ড দলে সুযোগ পেয়ে যেত রহিম। এখন আবার ক্রিকেট খেলছে ও। নটিংহ্যামশায়ারের দ্বিতীয় সারির দলে সুযোগ পেয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে ওর নামও শোনা যাবে।”

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply