শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
কলাপাড়ায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষের কাণ্ড বিনামূল্যের সরকারি বই কেজি দরে বিক্রি

কলাপাড়ায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষের কাণ্ড বিনামূল্যের সরকারি বই কেজি দরে বিক্রি

কলাপাড়ায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষের কাণ্ড বিনামূল্যের সরকারি বই কেজি দরে বিক্রি
কলাপাড়ায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষের কাণ্ড বিনামূল্যের সরকারি বই কেজি দরে বিক্রি

অনলাইন ডেস্ক: বিনামূলের সরকারি বই ফেরিওয়ালাদের কাছে কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বইগুলো জব্দ করেন। বইগুলোর ওজন চার টন; যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৫ লাখ টাকা। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর সালেহিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একেএম আবুবকর সিদ্দিক ও বাংলার প্রভাষক হাসান রোববার বিকালে গোপনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের সরকারি বিনামূল্যের বই কেজি দরে ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করেন। স্থানীয়রা ফেরিওয়ালাদের কাছে সরকারি বই দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জবাবে ফেরিওয়ালারা জানান, প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে বইগুলো কিনেছেন তারা। ফেরিওয়ালা কাওছার শেখ জানান, বইগুলো মোয়াজ্জেমপুর ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে কিনেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা তামিম নামের একজন বলেন, আমরা সন্ধ্যার পর মাদ্রাসার সামনে একটি ট্রাক এবং কয়েকজন লোক দেখতে পাই। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে আমরা স্থানীয় কয়েকজনকে খবর দিই। টের পেয়ে দ্রুত মাদ্রাসা মাঠ ত্যাগ করে তারা। পরে এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রাকসহ তাদের আটক করি।

মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা বনি আমিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এত সংকটের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিয়েছেন। অথচ অধ্যক্ষ চাহিদার অতিরিক্ত বই এনেছেন। অতিরিক্ত সেই বই তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। এই অসৎ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’

সরকারি বই বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবুবকর বলেন, ‘রেজুলেশন করে বই বিক্রি করেছি।’ সরকারি বই বিক্রি করা বৈধ কি না-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিক্রি করা বই আমরা জব্দ করেছি। অধ্যক্ষকে (আবুবকর সিদ্দিক) কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাঁচ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সহকারী কমিশনার ভূমি কৌশিক আহমেদ বলেন, ‘মহিপুর থেকে ট্রাকসহ বইগুলো জব্দ করে মহিপুর থানাকে হস্তান্তর করেছি। পাশাপাশি একাডেমি সুপারভাইজার মনিরুজ্জামানকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়েছি।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠিয়ে বইগুলো জব্দ করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply