নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের এক নেতা অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে বালু তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এটি বন্ধ করতে এরই মধ্যে তাকে চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে এই চিঠি আমলে নেননি আজিজুল আলম বেন্টু নামের ওই আওয়ামী লীগ নেতা। রাজশাহী নগরীর তালাইমারী এলাকায় এখনও বালু তোলা হচ্ছেই।
আজিজুল আলম বেন্টু মেসার্স আমিন ট্রেডার্স নামের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাংলা ২০২৬ সনে তিনি পদ্মা নদীর চরখিদিরপুর ও শ্যামপুর মৌজার ১২০ একর বালুমহাল ইজারা পেয়েছেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে তিনি বালু তুলছেন।
এ কারণে গত ৩ জুন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু আসলাম জেলা প্রশাসকের পক্ষে তার নামে জরুরি চিঠি ইস্যু করেন।
জেলা প্রশাসন বলছে, আজিজুল আলম বেন্টু যে বালুমহাল ইজারা নিয়েছেন তার সীমানা লাল পতাকা টাঙিয়ে তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ এসেছে যে আওয়ামী লীগ নেতা বেন্টু ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। এছাড়া এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে বিভিন্ন পক্ষ রিট পিটিশন করে ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশনা পেয়েছেন।
প্রশাসনের ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই চিঠি পাওয়ার পরও যদি আপনি ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করতে থাকেন তাহলে আপনার মূল ইজারা বাতিল ছাড়াও আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো বালু তোলা হচ্ছে আগের মতোই।
এলাকাবাসী বলছেন, আাওয়ামী লীগ নেতা বেন্টু চরখিদিরপুর ও চরশ্যামপুর এলাকার বালু মহাল ইজারা নিলেও ওই দুটি বালুমহালের বাইরে নগরীর তালাইমারী এলাকায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এতে পদ্মার শহর রক্ষা বাঁধসহ মধ্যনগরীর পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে কয়েক দফা চেষ্টা করেও আজিজুল আলম বেন্টুর মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। ফলে এ নিয়ে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের দাবি, ইজারা প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে এক বালু ব্যবসায়ী চরশ্যামপুর ও চরখিদিরপুর মৌজায় পদ্মানদীর বালুমহালটি বন্ধের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। বালুমহালটি বন্ধে হাইকোর্টে রিট করাসহ নামে বে-নামে একের পর এক আবেদন করে জেলা প্রশাসনে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন তিনি। এ কারণেই ওই চিঠি ইস্যু হয়েছে।
তবে নির্দেশ অমান্য করে বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু আসলাম। তিনি বলেন, ওই বালু ব্যবসায়ীকে ইজারাকৃত জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। বিধি লঙ্ঘন করলে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। সুত্র: ঢাকা টাইম
মতিহার বার্তা ডট কম – ১৪ জুন- ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.