শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
চারঘাট সীমান্ত দিয়ে আসছে অবৈধ ভাবে রোগাক্রান্ত ভারতীয় গরু

চারঘাট সীমান্ত দিয়ে আসছে অবৈধ ভাবে রোগাক্রান্ত ভারতীয় গরু

চারঘাট প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে অবৈধভাবে আসছে বিভিন্ন রোগাক্রান্ত ভারতীয় গরু।ফলে একদিকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে,অন্যদিকে এসব গরুর মাংস স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।তবুও প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে দলে দলে প্রবেশ করছে ভারতীয় গরু।

জানা গেছে,ভারত থেকে অবৈধ ভাবে আসা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব গরুর কোন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না।এসব গরুর শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগের ফলে সেগুলো এক থেকে দুই মাসের মধ্যে মারা যায়। এসব রোগাক্রান্ত গরু নিয়ে এসে দেশীয় গরুর সাথে বেধে রাখা হয়।তাতে দেশীয় পশুও হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

জানা যায়, স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় সীমান্তে ভারতীয় গরু আনা-নেয়া ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিট এবং ভারতীয় গরু করিডোরের মাধ্যমে ছাড়পত্র নিয়ে নির্বিঘ্নে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাবার অংশ হিসেবে বিট বা খাটাল প্রথা চালু করে। এর অংশ হিসেবে উপজেলার ইউসুফপুর ও চারঘাটে বিওপি’র অধীনে বিট বা খাটালের অনুমতি দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ বিট বা খাটাল তা বন্ধ রয়েছে।চারঘাট উপজেলা আইনশৃঙ্খলার মিটিং এ বার বার খাটাল চালুর কথা উপস্থাপন করলেও বিভিন্ন কারন দেখিয়ে কতৃপক্ষ তা বন্ধ রাখে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়,ঈদ কে সামনে রেখে গত কিছুদিন যাবৎ প্রতি রাতেই উপজেলার ইউসুফপুর, গোপালপুর, পিরোজপুর, রাওথা সীমান্ত দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চোরাইপথে গরু প্রবেশ করছে। আর এই চোরাই গরু আমদানী সিন্ডিকেটের প্রধান উপজেলার রাওথা গ্রামের ওয়াসিম আলী।সে এলাকায় মাদকের গডফাদার নামেও পরিচিত।মূলত ওয়াসিমের সিন্ডিকেটের লোকজনই দাপটের সাথে প্রতিনিয়ত এসব রোগাক্রান্ত গরু অবৈধ ভাবে ভারত থেকে নিয়ে আসছে বলে এলাকাবাসী দাবি করেছেন।

সীমান্তের এ পয়েন্টগুলো দিয়ে সারা বছরই কম বেশি গরু উঠে। রাত গভীর হলেই দলে দলে তারা ওই এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। রাতারাতি ধনী হওয়ার নেশায় এই কাজ করতে গিয়ে ইতোমধ্যে ওই সীমান্তে বেশ কয়েকজন যুবক ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর হাতে ধরা পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অনেকে ভারতের জেলের ঘানি টানছে। এতে স্থানীয় মহাজন ও দালালরা প্রসাশনকে ম্যানেজের নামে টাকা নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও রাখালদের অবস্থার কোনো উন্নতি হয় না।

ভারতীয় গরু আসার বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসিম আলী বলেন, মাঝে মধ্যে অল্প কিছু গরু আসছে।তবে রোগাক্রান্ত গরু আসছেনা বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউসুফপুর ক্যাম্পের সুবেদার নজরুল ইসলাম জানান, অবৈধ ভাবে গরু উঠছে এরকম তথ্যও আমাদের জানা নেই।

মতিহার বার্তা ডট কম-০৭ জুলাই  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply