বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় বাল্য বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি মামলায় আটক হয়েছে রবিউল ইসলাম, হাবিল উদ্দিন ও হাসমত আলী নামে তথাকথিত তিন সাংবাদিক।
সোমবার (৩১ আগস্ট) বিজ্ঞ আদালতে আত্নসমার্পন করলে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোর্ট পরিদর্শক রফিক উদ্দিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ভ্যান চালক সাইফুল ইসলাম তার নবম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে উপস্থিত হন তথাকথিত তিন সাংবাদিক।
তথাকথিত তিন সাংবাদিক হলো: উপজেলার তেথুলিয়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে-রবিউল ইসলাম, পাকুড়িয়া এলাকার আলী হোসেনের ছেলে হাবিল উদ্দিন ও পানিকমড়া গ্রামের সুলতান আলীর ছেলে-হাসমত আলী ওরুপে হাশেম।
তারা সেখানে গিয়ে সাইফুল ইসলামের নিকট ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় সাইফুল ইসলাম তাদের ২ হাজার টাকা দিলে সেই টাকা তারা ছুড়ে ফেলে। নিরুপায় হয়ে সাইফুল ইসলাম প্রতিবেশী আজাদ আলীর নিকট থেকে ধারে ৩ হাজার টাকা এনে তাদের দাবি পুরন করেন।
এদিকে এই ঘটনার কিছুক্ষন পর জাতীয় জরুরী সেবার ফোন পেয়ে সেখানে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হন বাঘা থানা উপ পরিদর্শক (এস.আই) নাজমুল হক। ফলে বিয়ে বন্ধ হয়ে যাই। তখন মেয়ের বাবা সাইফুল ইসলাম পুলিশকে জানায়, বিয়ে দেয়ার শর্তে তিন সাংবাদিক তার নিকট হতে ৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে গেছে।
এর পরদিন সাইফুল ইসলাম ওই তিন কথিত সাংবাদিকের নামে বাঘা থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বেশ কিছুদিন আত্নগোপনে থাকার পর বাদীকে তারা টাকা ফেরত দেয় এবং কোন ঘটনায় ঘটেনি বলে লিখিত নেয়।
এই লেখা হাতে করে সোমবার তারা আদালতে জামিন নিতে যায়। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নজরুল ইসলাম জানান,এ সংক্রান্তে একটি মামলা হয়েছিল। এ মামলায় তারা জামিন নিতে গিয়ে আটক হয়েছে এমনটি শুনেছি।
মতিহার বার্তা ডট কম – ৩১ আগষ্ট ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.